জেক ম্যাথিউস

জেক অ্যারন ম্যাথিউস (জন্ম ১৯ আগস্ট ১৯৯৪):
তিনি একজন অস্ট্রেলিয়ান মিক্সড মার্শাল আর্টিস্ট, বর্তমানে আল্টিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশিপের ওয়েলটারওয়েট বিভাগে প্রতিযোগিতা করছেন।মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ ও বেড়ে ওঠা ম্যাথিউস তার শৈশবে নয় বছর অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল খেলেন এবং এক মৌসুমের জন্য নর্দার্ন নাইটসকে প্রতিনিধিত্ব করেন। ছুটির সময় ফিট থাকার জন্য তিনি তার বাবা-মায়ের বাড়ির পিছনের উঠোনে একটি শেডে মিক্সড মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন, যেখানে তিনি তার ছোট ভাইয়ের সাথে স্পারিং করতেন এবং তার বাবা তাকে কোচিং করতেন।

ইসলাম গ্রহণ এবং তার পরবর্তী সময়:
জেক ম্যাথিউস ২০২৩ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম সম্পর্কে জানার এবং বোঝার চেষ্টা করছিলেন। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ইসলাম সম্পর্কে পড়াশোনা করছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন ইসলাম গ্রহণের। তার মতে, ইসলাম ধর্মের নীতি এবং নৈতিকতা অনেকটাই তার নিজের জীবনের মূল্যবোধের সাথে মিল রেখেছিল, তাই তার জন্য এটি একটি স্বাভাবিক সিদ্ধান্ত ছিল। ইসলাম গ্রহণের পরে, তার পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক ছিল, যদিও প্রথমে তারা তার সিদ্ধান্তের গুরুত্ব বুঝতে পারেনি ।
জেক ম্যাথিউসের ইসলামিক জীবনধারা তার জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি প্রথমবারের মতো রমজান পালন করেছিলেন এবং এতে তার জন্য কিছু চ্যালেঞ্জও ছিল, কারণ এটি তার জন্য একটি নতুন অভ্যাস ছিল। তবে তিনি এটিকে যথেষ্ট গুরুত্বসহকারে নিয়েছিলেন এবং তার ইসলামিক বিশ্বাসের উপর দৃঢ় ছিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর তিনি নিজের জীবনধারায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন, যেমন প্রার্থনা করা এবং ইসলামিক নীতিমালা মেনে চলা।ম্যাথিউস উল্লেখ করেছেন যে, ইসলাম গ্রহণের আগে থেকেই তার জীবনের মূল্যবোধ এবং নৈতিকতা ইসলামের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। ইসলামিক জীবনে প্রবেশের পর তিনি আরও গভীরভাবে এই মূল্যবোধগুলোকে নিজের জীবনে প্রয়োগ করতে শুরু করেন। তার বন্ধুরা এবং পরিবারের সদস্যরা প্রথমে তার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত না থাকলেও পরে তারা তার পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন।তিনি উল্লেখ করেন, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর থেকে তিনি নিজের জীবনযাত্রায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন। ইসলামিক প্রার্থনা এবং রমজান পালনের মতো বিষয়গুলো তার দৈনন্দিন জীবনে নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। বিশেষত, রমজানের সময় উপবাস পালন তার জন্য শারীরিক এবং মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে তিনি এটিকে তার বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গ্রহণ করেন।তিনি আরও জানান, তার কিছু মুসলিম বন্ধু এবং তার বাবা ছিলেন তার ইসলাম গ্রহণের প্রক্রিয়ার প্রাথমিক প্রভাবক। তার জীবনের নৈতিক এবং আধ্যাত্মিক দিকগুলোতে ইসলাম অনেকটাই সহায়ক হয়েছে, এবং তিনি এই বিশ্বাসকে আরও গভীরভাবে নিজের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। UFC – এর মতো একটি প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে ইসলামিক জীবনযাপন করা হয়তো সহজ নয়, তবে তিনি তার বিশ্বাসে দৃঢ় থাকার চেষ্টা করছেন।

জেক ম্যাথিউস ইসলাম গ্রহণের পর, তিনি সমাজে ইসলাম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ও মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে সম্পর্কিত হতে কাজ করছেন। যদিও তার কর্মজীবনে সরাসরি ধর্মীয় কাজে তার অবদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য কম, তবে তিনি তার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ইসলামের নীতিগুলো প্রচার করার চেষ্টা করছেন।একটি পডকাস্টে, ম্যাথিউস ইসলাম সম্পর্কে তার অভিজ্ঞতা এবং মুসলিম জীবনযাপনের চ্যালেঞ্জগুলি শেয়ার করেছেন। তিনি এই ধর্মের নৈতিকতা এবং প্রার্থনার গুরুত্বের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন, যা তার ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনকে প্রভাবিত করেছে।ম্যাথিউসের ইসলামে অবদান মূলত তার ব্যক্তিগত জীবন এবং নৈতিক মানের পরিবর্তন, সমাজে ইসলাম সম্পর্কে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা, এবং ইসলামের প্রতি তাঁর আনুগত্য প্রদর্শন করা।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।