সাম ও নসব
নাম ও নসব সমন্ধে এক বর্ণনায় এসেছে যে, সে সময় ভূমধ্য সাগরের উপকূলে আমালিকা সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। হযরত ইয়াসা (আঃ)-এর ওফাতের পর আমালিকা সম্প্রদায় হতে জালুত নামক অত্যাচারী শাসক বনী ইসরাইলীদের পরাজিত করে তাদের এলাকা দখল করে এবং তাদের অনেক নেতাকে বন্দী করে নিয়ে যায়। অন্যান্যদের উপর কর ধার্য করে। বনী ইসরাইলীদের এমন শোচনীয় অবস্থায় সময় তাদের মধ্যে কোন নবী বা রাসূল ছিল না।
এমন কি খান্দানে নবুয়তের মধ্যে গর্ভবতী নারী ছাড়া আর কেউ বেঁচে ছিলেন না। এমনই এক নাজুক পরিস্থিতি আল্লাহ পাক তাদের প্রতি রহম করলেন। গর্ভবতী এ রমণীর গর্ভে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করল। তার নাম রাখা হল শামভীল বনী ইসরাইলের একজন সম্মানিত ব্যক্তি তাঁর লালন-পালনের দায়িত্ব নেন।
শামভীল তার কাছ হতে তৌরাত মুখস্ত করলেন এবং জ্ঞান শিক্ষার স্তরসমূহ অতিক্রম করলেন। এভাবে তিনি বনী ইসরাইলীদের মধ্যে একটি বিশেষ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হলেন এবং সকলের প্রিয় পাত্রে পরিণত হলেন। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নবুয়তের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করলেন এবং বনী ইসরাইলীদের আল্লাহর পথে আহবান করার আদেশ দিলেন।
ঐতিহাসিকদের মতে, হযরত শামভীন (আঃ) হযরত হারূন (আঃ)-এর বংশধর ছিলেন। তাঁর নসবনামা নিম্নরূপ- শামভীন তাঁর পিতা হান্নাহ তাঁর পিতা আকের। আবার তারীখে ইবনে কাসীর নামক গ্রন্থে নসব নামা এভাবে হয়েছে- শামভীল তাঁর পিতা বালী তাঁর পিতা আলকমা তাঁর পিতা ইয়ারহাম তাঁর পিতা ইয়াহু তাঁর পিতা তাহু তাঁর পিতা চাওফ তাঁর পিতা আলকামা তাঁর পিতা মাহেস তাঁর পিতা অমুচ তাঁর পিতা আযাইয়া।