পাকিস্তানের গিলগিট অঞ্চলে একটি বাস্তব ঘটনার বিররণ
করাচীর গুলশান ইকবাল এলাকায় বায়তুল করম জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতী আবদূর রউফ শুক্কুরিবি উক্ত জামে মসজিদে একটি ভাষণ দেন। তার সে ভাষণ নারীদের ছয় গুনাহ নামের পুস্তিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত পুস্তিকার ১৪নং পৃষ্টায় সংকলিত হয়েছে একটি মর্মান্তিরক ঘটনা। ঘটনাটি নিম্নরুপঃ
মাওলানা আবদূর রউফ বলেন, পাকিস্তানের গিলগিট অঞ্চলে একজন লোক এক কবরস্থানে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সে কবরের ভেতর থেকে আওয়াজ শুনতে পেল। আমাকে বের করো আমাকে বের করো আমি জীবিত। একাধিকবার এ আওয়াজ শোনার পর লোকটি স্থানীয় জনগণকে একথা জানায়। তারাও কবরের পাশে এসে একথা শুনতে পায়। মহল্লার মসজিদের ইমাম সাহেবের মতামত চাইলে তিনি কবর খননের আদেশ দেন।
কবর খুড়ে দেখা যায় কবরের ভেতর একটি মেয়ে উলঙ্গ অবস্থায় বসে আছে। তার কাফন পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে। সে বলল, আমার ঘরে যাও কাপড় নিয়ে আসো। কাপড় এনে ছুড়ে দেওয়ার পর মেয়েটি দ্রুত কবর থেকে বের হলো এবং দৌড়ে নিজের বাড়ির একটি ঘরে ঢুকে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিল। বাইরে থেকে দরজা খোলার জন্য বলা হলে সে বলল, দরজা খুলবো কিন্তু যাদের মনে সাহস আছে তারাই শুধু আমার চেহারা দেখবে। দু’তিন জন সাহস করে ঘরের ভেতরে ঢুকলে মেয়েটি মাথার আঁচল সরালো।
তার মাথায় চুল নেই মাথার চামড়াও নেই। উপর নিচে ঠোঁট নেই শুধু আছে তার দাত। এ অবস্থার কারণ জিজ্ঞেস করলে সে বলল, ফেরেশতারা আমার মাথার চুল চামড়াসহ খুলে ফেলেছে আর আমার দু ঠোঁট আগুনের কাঁচি দিয়ে কেটে ফেলেছে। এর কারণ হল আমি জীবিত থাকার সময় খোলা চুলে ঘুরে বেড়াতাম আর ঠোঁটে লিপিস্টিক মাখতাম। তারপর মেয়েটির হাত পায়ের আঙ্গুল দেখাল।
হাত পায়ের আঙ্গুলে একটি নখও নেই সব তুলে নেয়া হয়েছে। সে বলল, আমি হাত পায়ের নখে নেইলপালিশ লাগাতাম এ কারণে আমাকে এ শাস্তি দেয়া হয়েছে। একথা বলেই মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে ঢলে পড়লো। সবাই তাকে পুনরায় কবরস্থানে নিয়ে তার আগের কবরে তাকে দাফন করে দিলো। আল্লাহ কবরের শাস্তির নমুনা বান্দাদের দেখাতে চেয়েছেন এ কারণেই এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।