অলিদের সাথে পাখির আচারণ

এক বুজুর্গ বলেন, একবার আমি দেখতে পেলাম হযরত সামনুন মসজিদে বসে আল্লাহ পাকের মোহাব্বতের কিছু  কথা বললেন, এমন সময় তাঁর হাতের উপর একটি পাখি বসল। অতঃপর নিচে নেমে ঠোঁট দিয়ে মাটিতে আঘাত করতে লাগল। ফলে তাঁর ঠোঁট হতে রক্ত ঝরতে লাগল। এবং কিছুক্ষণ পর সে মারা গেল। এমনি ভাবে অন্য একদিন আল্লাহ পাকের মোহাব্বতে জযবায় মসজিদের ভেরত কিছু কথা বলছিলেন। এমন সময় মসজিদের ঝাড়বাতিগুলো চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে মাটিতে পড়ে গেল।

হযরত আবু মালেক (রহঃ) বলেন, একবার আমি একাকী ভ্রমন করছিলাম। আল্লাহ পাক এক পাখীকে আমার সাথী বানিয়ে দিয়েছিলেন। সে রাতভর আমার সাথে কথাবার্তা বলত এবং ইয়া কুদ্দুস! ইয়া কুদ্দুস! বলতে থাকত।

বিখ্যাত বুজুর্গ হযরত সাররী সাকতী (রহঃ) বলেন, একবার আমি শাম দেশের এক গ্রামে রাত যাপন করলাম। রাতে হঠাৎ শুনতে পেলাম, কে যেন বলছে, আমি গুনাহগার, ভবিষ্যতে আর কখনো গুনাহ করব না। সকালে আমি লোকজনের নিকট জিজ্ঞেস করলাম, রাতে কে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে? লোকেরা বলল, পাখিটি প্রতিনিয়ত এরূপ বলে থাকে।

আবূ মুসলিম খাওলানী (রহঃ) বলেন, আমি রোমের যুদ্ধে মুসলমানদের সাথে ছিলাম, মুসলিম সেনাপতি একদল মুজাহিদকে এক অভিযানে প্রেরণ করলেন এবং প্রত্যাবর্তনের নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করে নিলেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তারা ফিরে না আসায় মুসলমানরা মুজাহিদের অমঙ্গল চিন্তায় ব্যকুল হয়ে উঠল। এ সময় মুসলিম সেনাপতি একটি বর্ষা মাটিতে দাঁড় করিয়ে ওটার পেছনে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলেন। এমন সময় কোথা হতে  একটি পাখি এসে সেই বর্ষার উপর বসে সেনাপতিকে লক্ষ্য করে বলতে লাগল, তোমাদের মুজাহিদ দল সফল অভিযানের পর গনীমতের মাল নিয়ে নিরাপদ প্রত্যাবর্তন করছে। তারা অমুক দিন এসে তোমাদের সাথে মিলিত হবে।

সেনাপতি বললেন, আল্লাহ পাক তোমার রহম করুক। তুমি কে? পাখীটি বলল, আমি মুসলমানদের অন্তরের দুশ্চিন্তা দূর করে থাকি।

আবু মুসলিম খাওলানী (রহঃ) বলেন, পরবর্তীতে দেখা গেল, সেই পাখির বর্ণিত নির্দিষ্ট সময়েই মুসলিম অভিযাত্রী রনাঙ্গন হতে ফিরে আসে।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।