স্রষ্টার সাথে মিলনের আশায়
কথিত আছে যে, ছালেম ছাদ্দাদ (রহঃ) ছিলেন একজন বড় আবদাল। তিনি হযরত ফারাহ মুসাল্লী (রহঃ) এর নিকট আসা-যাওয়া করতেন। আযান শোনার সাথে সাথে তার চেহারা রক্তিম বর্ণ ধারণ করতো। এবং নামাজের জন্য পেরেশান হয়ে যেতেন। এ সময় তিনি দোকান খোলা রেখেই মসজিদে রওয়ানা হতেন। এবং আরবী কয়েকটি বয়াত পাঠ করতেন।
যার মর্মার্থ হল, তোমার ঘোষকের আহ্বানের সাথে সাথে আমি সাড়া দেই, আমি সেই সৃষ্টিকর্তার আহবান কবূল করি যার কোন তুলনা নেই। আমার কান সেই আহবানকে কবুল করার নিয়তে শ্রবণ করে, আর আমি সমস্ত কাজ কর্ম ফেলে অনুগত দাসের মত উপস্থিত হয়ে বলি লাব্বায়িক হে মেহেরবান! তোমার ডাক শোনার পর পৃথিবীর কোন কাজ কর্মই আমার নিকট ভাল লাগে না। অপর কারো নাম মুখে নিতে মন চায় না। কালের চাকা কত কাল পরে তোমার আমার সম্মিলন ঘটাবে? সেই মিলন দিবসের পূর্বে আমার আত্মা কখনো শান্তি পাবে না।
অন্য এক ঘটনায় প্রকাশ, হযরত ফাতাহ মুসাল্লী (রহঃ) এক এক মুরিদ বলেন, একদিন আমি হযরতের নিকট গিয়ে দেখলাম তিনি কোরআন তিলাওয়াত করছেন। আর তার চোখ হতে অশ্রুর পরিবর্তে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে। আমি আরজ করলাম হযরত আল্লাহর শপথ! আপনি রক্তকান্না করছেন কেন? তিনি বললেন, তুমি যদি আল্লাহর নামের শপথ না দিতে, তবে আমি তোমার এ প্রশ্নের উত্তর দিতাম না। আমি আল্লাহর নিকট হতে দূরে থাকার কারণে প্রথমে অশ্রু বর্ষণ করেছি।
যদি এ কান্না কবুল না হয় এ আশঙ্কায় রক্তকান্না করলাম। বর্ণনাকারী বললেন, হযরত শায়েখের মৃত্যুর পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ পাক আমাকে মাফ করে দিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন, হে ফাতাহ তুমি জীবনে কি জন্য এত কান্না করেছ? তোমার জন্য নিয়োজিত ফেরেশতা চল্লিশ বছর যাবৎ তোমার আমলের হিসাব আমার নিকট পেশ করেছে। কিন্তু এতে কোন প্রকার গুনাহ ছিল না। আল্লাহ পাক সবকিছু জানেন।