বিশ্বনবীর উদ্দেশে শয়তানের হামলা

(হাদীস) বর্ণনায় হযরত আবুদ দাররা (রাঃ)

একবার জনাব রসূলুল্লাহ (সাঃ) নামায পড়ার জন্য দাঁড়ান, সেই সময় আমি তাঁকে বলতে শুনি ‘আমি তোর (অনিষ্ট) থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয় চাইছি’। এরপর তিনি তিনবার বলেন- তোর উপর আমি আল্লাহ্‌র অভিশাপ দিচ্ছি। এরপর তিনি এমনভাবে হাত বাড়ান, যেন কোনও জিনিস ধরতে চাইছেন। তারপর তিনি নামায শেষ করলে, আমরা নিবেদন করলাম, হে আল্লাহ্‌র রসূল! আমরা আপনার থেকে (নামাযরত অবস্থায়) এমন কথা শুনেছি, যা আপনি আগে কখনও বলেন নি। তাছাড়া আপনি হাতও বাড়িয়েছেন! (এর কারণ কী?)

নবীজী বলেন, আল্লাহ্‌র দুশমন ইবলীস আগুনের শিখা নিয়ে আমার কাছে এসেছিল এবং তা আমার মুখে দিতে চেয়েছিল। তাই আমি বলেছি, আউজুবিল্লাহ মিনকা- তোর থেকে আমি আল্লাহ্‌র আশ্রয় চাইছি- তবুও সে পিছু হটেনি। তখন আমি (তিনবার) অভিশাপ দিই। তবুও সে সরেনি। সেই সময় তাকে আমি গ্রেফতার করতে মনস্থ করি। যদি আমার ভাই সুলাইমান (আঃ)-এর দুআ না থাকত, তবে ও সকালে বাঁধা অবস্থায় থাকত এবং মদীনার বাচ্চারা ওকে নিয়ে খেলত।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্যঃ হযরত আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে এরকম বর্ণনা আছেঃ জনাব রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- শয়তান আমার সামনে এসে, আমার নামায খারাপ করে দেবার জন্য, বাঁধা সৃষ্টি করতে চাইলে, আল্লাহ্‌ তায়ালা ওর উপর আমাকে প্রবল করে দেন। ফলে আমি ওকে আছড়ে ফেলি। আমার ইচ্ছা হয়েছিল যে, ওকে একটা খুটির সাথে বেঁধে দিই, যাতে তোমরা সকালে ওকে দেখতে পাও। কিন্তু ফের আমার মনে পড়ে হযরত সুলাইমান (আঃ)-এর দুআ ‘আল্লাহ্‌ তাকে ব্যর্থ করেই ফিরিয়ে দেন’

হযরত সুলাইমান (আঃ) এই দুআ করেছিলেন- ‘হে আল্লাহ্‌! আমাকে মাফ করুন এবং আমাকে এমন এক রাজ্য দান করুন, যার অধিকারী আর কেউ হতে পারবে না।’ যেহেতু হযরত সুলাইমান (আঃ)-এর সাম্রাজ্যে জ্বিন শয়তানরাও অনুগত ছিল, তাই মহানবী (সাঃ) শয়তানকে গ্রেফতার করেননি, যাতে ওই বৈশিষ্ট হযরত সুলাইমানেরই অধিকারে থাকে।

হযরত আয়েশা (রাঃ) বর্ণনা করেছেনঃ একবার জনাব রসূলুল্লাহ (সাঃ) নামায পড়ছিলেন। সেই সময় তাঁর কাছে শয়তান আসে। তিনি ওকে আছাড় মারেন এবং ওর জিভের শীতলতা নিজের হাতে অনুভব করেছি। যদি হযরত সুলাইমান (আঃ)-এর দুআ না থাকত, তবে ও সকালে বাঁধা অবস্থায় থাকত এবং লোকেরা ওকে দেখতে পেত।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।