আবরাহা কর্তৃক কা’বা গৃহ ধ্বংসের পরিকল্পনা-পর্ব ১

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জন্ম গ্রহণের পূর্বে তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন কোরাইশদের তথা মক্কা এলাকার একচ্ছত্র নেতা। তিনি কা’বা গৃহেরও প্রধান সেবক ছিলেন। যখন কা’বা গৃহে ছিল অসংখ্য দেবীর মূর্তি। দেশ বিদেশের অসংখ্যা মানুষ এখানে জমায়েত হয়ে দেবদেবীর পূজা অর্চনা করত।

এত বড় এবাদাতখানা তখনকার দিনে পৃথিবীতে আর ছিল না। এ কা’বা গৃহকে উপলক্ষ করে বছরে দুবার এখানে মেলা বসত। সে মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ সমবেত হত। দেশ বিদেশ থেকে রাজা বাদশা আমির ওমরাগণ ও হাজার হাজার মানুষ পুণ্যের আসায় এ মেলায় হাজির হত।

আবদুল মোত্তালেব ছিলেন এ সমস্ত অনুষ্ঠানাদীর পরিচালক ও নিয়ন্ত্রণকারী। দেশ বিদেশ থেকে রাজা বাদশাগণ এখানে এসে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করা ও তাঁর দোয়া নেয়া অত্যন্ত সওয়াবের কার্য বলে মনে করত।

তাই মেলার সময় আব্দুল মোত্তালেবের চতুপার্শে অসংখ্য মানুষের ভিড় থাকত। তারা টাকা পয়সা, ফলমূল ও কাপড় চোপড় ইত্যাদি হাদিয়া হিসেবে তাঁকে প্রদান করত।

ইয়েমেন দেশের শাসক আবরাহা আশরাফ ছিল তখনকার প্রতিষ্ঠিত রাজাদের মধ্যে অন্যতম। সে ছিল উচ্চাভিলাসী। সে প্রতি বছর মক্কায় মেলায় এসে বিরাট জাক জমক, আনন্দ উৎসব দেখে ও মক্কাবাসীদের অর্থনৈতিক সুযোগ লাভ এবং মর্যাদা অধিকারের কথা ভেবে বে-শামাল হয়ে পড়ল।

মক্কায় না আছে কোন রাজা বাদশাহর অবস্থান না আছে ধন দৌলতের প্রাচুর্য। শুধু একজন সাধারণ সর্দারের নেতৃত্তে এত বড় জন সমাবেশ ও এত মানুষের ভক্তি ও শ্রদ্ধা লাভের পদ্ধতিটা তার নিকট খুবই অসহনীয় হয়ে পড়ল।

তাই সে দীর্ঘ দিন ধরে তার দেশে এ ধরনের এক এবাদাতখানা তৈরি করে সমাবেশ সৃষ্টির কথা ভাবতে ছিল। দেশে এক মনোরম শহরে কা’বা ঘরের ন্যায় একখানা এবাদাতগৃহ তৈরি করল এবং বছরে একবার মেলা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করল। অতঃপর সে দেশ বিদেশে তার এবাদাতের মর্যাদা সম্বন্ধে ফলাউ করে অনেক কথা জানিয়ে দিল। নির্দিষ্ট একটি তারিখে মেলা বসার কথাও প্রচার করতে আরম্ভ করল। বিদেশী রাজা বাদশাও আমির ওমরাগণকে দাওয়াত দিল। মক্কা এলাকায় এ প্রচার কার্য খুবই জোরদার করল।

আবরাহা কর্তৃক কা’বা গৃহ ধ্বংসের পরিকল্পনা-পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।