রাফেজী সম্প্রদায় সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বানী
হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলে করীম (সাঃ) বলেছেন, আমার পর খুব শীঘ্রই এমন একটি দলের আবির্ভাব ঘটবে, লোকেরা যাকে “রাফেজী” বলে ডাকবে। তোমরা যদি তাদের সাক্ষাত পাও তবে তাদের কে হত্যা করে ফেলবে। কেননা তারা মুশরিক হবে। হযরত আলী (রাঃ) এদের পরিচয় জিজ্ঞেস করলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, হে আলী! তারা অতিরঞ্জিত করে তোমার নামে এমন সব গুনের প্রচার করবে! যা তোমার ভেতর নেই। তারা পূর্ববর্তী বুজুর্গদেরকে ঠাট্রা বিদ্রূপ করবে এবং তাদের সমালোচনা করবে।
উক্ত রেওয়ায়েতে রাফেজীদের যে দল সম্পর্কে রাসূল পাক (সাঃ) ভবিষ্যদ্বানী করেছেন তা পূর্ণ হয়েছে। হযরত আলী (রাঃ) এর জামানায় আব্দুল্লাহ বিন সাবা নামে এক ইহুদী, মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাফেজী ফেরকার গোড়াপত্তন করে। আব্দুল্লাহ বিন সাবার অনুসারীরা হযরত আলী (রাঃ) কে পয়গম্বরদের সমপর্যায়ে এবং ক্ষেত্র বিশেষে কোন কোন পয়গম্বর হতেও বড় মনে করতে লাগল। অবশেষে তারা হযরত আলীকে আল্লাহ্ পাকের সম পর্যায়েই জ্ঞান করতে লাগল। এ কারণেই তাদেরকে মুশরিক বলা হয়েছে।
এ বিষয়টি তৎকালে সকলেরই জানা ছিল। যে, রাফেজী সম্প্রদায় হযরত আবূ বকর (রাঃ) এবং হযরত ওমর (রাঃ) এর মত বড় বড় ছাহাবাদের কঠোর সমালোচনা এবং তাদের শানে সকল সময় ঠাট্রা-বিদ্রুপ করত। অপর এক বর্ণনায় বলা হয়েছে, রাফেজী সম্প্রদায়ের লোকেরা আহলে বাইতের সাথে মিথ্যা মোহাব্বতের দাবী করত। তাদের আরেকটি পরিচয় হল, তারা হযরত আবূ বকর (রাঃ) এবং হযরত ওমর (রাঃ) কে সমপর্যায়ের ছাহাবা বলে মন্তব্য করবে। (দারে কুতনী)