হযরত শামাউন (আঃ)-এর শারীরিক গঠন ও নবুয়ত লাভ-শেষ পর্ব
হযরত শামাউন (আঃ)-এর শারীরিক গঠন ও নবুয়ত লাভ- ৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হযরত শামাউন (আঃ) অতঃপর তাঁর নিজ গৃহে গিয়ে উপস্থিত হলেন। তাঁকে এভাবে জীবিতাবস্থায় গৃহে প্রত্যাবর্তন করতে দেখে তাঁর স্ত্রীর অন্তরাত্না ভয়ে কেঁপে উঠল। তিনি তাঁর জীবনাবসান একেবারে আসন্ন মনে করলেন। হযরত শামাউন (আঃ) ও ইচ্ছা করলেন, তিনি তাঁকে ধরে শূণ্যে তুলে বাদশাহর মত একই আছাড়ে শেষ করে দিবেন। কিন্তু ঠিক এ মুহুর্তে হযরত জিব্রাঈল ফেরেস্তা এসে তাঁর নিকট বললেন, হে আল্লাহ্ পাকের নবী ধৈর্য ধারণ করুন। কেনন্য তিনি যে অপরাধ করেছেন তাঁর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী তিনি নন। মুলতঃ তিনি অত্যন্ত ধার্মিক খোদাভীরু, সরল এবং স্বামী সোহাগিনী রমণী ছিলেন। কিন্তু পাপিষ্ঠ বাদশাহ তাঁর সরলতার সুযোগ নিয়ে সুকৌশলে তাঁকে বিপথে চালিত করেছে। বিশেষতঃ নারীগণ অপরিপক্ক বুদ্ধি সম্পন্ন, তাই বাদশাহর ছলনা ও প্রতারনার জাল ছিন্ন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি। আপনি তাঁর এ অনিচ্ছাকৃত ত্রুটি মার্জনা করুন। মহান প্রতিপালক আল্লাহ্ পাকের ইচ্ছাও এরূপ।
ফেরেস্তা জিব্রাঈলের কথা শুনে হযরত শামাউন (আঃ) সংযম অবলম্বন করে স্বীয় স্ত্রীর অপরাধ ক্ষমা করলেন। কথিত আছে যে এ ঘটনার পরেও হযরত শামাউন (আঃ) প্রায় পাঁচশত বছর জীবিত ছিলেন এবং বাকী জীবন উক্ত স্বীয় স্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই অতিবাহিত করেছিলেন।
তাঁর সম্পর্কে আরও বর্ণিত আছে যে, সমগ্র জীবন তিনি দিনের বেলায় রোজা রাখতেন এবং রাত্র জেগে আল্লাহ্ পাকের ইবাদাত করতেন। সর্বোপরি তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়ই কাফিরদের সাথে যুদ্ধ ও কলহে অতিবাহিত করতেন। সর্বোপরি তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময়ই কাফিরদের সাথে যুদ্ধ ও কলহে অতিবাহিত করতে হয়েছিল। নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি ও স্বস্তির মুখ তিনি কোনদিনই দেখেন নি। যার বিনিময়ে আল্লাহ্ তাঁকে অনেক নবীদের মধ্যে অধিক মর্যাদা দান করেছিলেন।
হযরত শামাউন (আঃ)-এর শারীরিক গঠন ও নবুয়ত লাভ-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন