হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – পর্ব ২

হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

একবার তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। মনে চিন্তার মেঘ। এমন সময় এক রাতে তিনি স্বপ্ন দেখেন, কে যেন বলছে, আপনি অত চিন্তিত কেন? প্রয়োজন দেখা দিলে ঋণ গ্রহন করবেন। আর তা শোধ করার দায়িত্ব আমার।

হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – এর অসংখ্য অমূল্য বাণী উপহার দিয়ে গেছেন। তার কিছু নিম্নে দেয়া হলঃ

১. দেব-দেবী বিভিন্ন রকমের। যথাঃ (ক) কেউ কেউ নফসকে দেবতুল্য জ্ঞান করে তার পূজা করে। (খ)কেউ কেউ ধন্সম্পদকে দেবতা জ্ঞানে পূজা করে। (গ) কেউ কেউ স্ত্রী-পুত্র, পরিবার-পরিজনকে দেবতা ভেবে তাদের তুষ্টির জন্য রত হয়। এভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি, রুপ-গুন, শক্তি-সামর্থ্য, জ্ঞান-বুদ্ধি এমনকি বিভিন্ন এবাদত যেমন, নামায, রোজা প্রভৃতিকে মুক্তিদাতা মনে করে, এক একজন এক একটির প্রতি আকৃষ্ট হয়। আসলে কিন্তু এর কোনটিরই নিজস্ব শক্তি নেই কেননা এগুলি সবই আল্লাহর সৃষ্টি। সুতরাং সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী একমাত্র আল্লাহ। আর তাঁরই এবাদত করতে হবে।

২. পীরের পরিচর্যা ও দ্বীনি ভাইদের প্রতি সদাচরণ প্রদর্শন করা মুরীদের অবশ্য কর্তব্য। তা ছাড়া, কুকামনা পরিত্যাগ করে তাকে সুন্নতের অনুসারী হতে হবে।

৩. আমি যখন কোন তাপসের দরবারে উপস্থিত হয়েছি তখন আমার নিজস্ব বিদ্যা বা যোগ্যতা একপাশে গুটিয়ে রেখেছি। আর তাঁদের অমূল্য উপদেশ মন দিয়ে শুনেছি। ফলে আল্লাহ আমাকে মারেফাতের সাফল্য দান করেছেন।

৪. সামান্যতম অহমিকা নিয়েও কেউ যদি আল্লাহর তাপস বন্ধুদের দরবারে যায়, তবে তাঁদের সহচর্য তার কোন কাজে আসে না।

৫. পুণ্যবানদের সংস্পর্শে মনের আবিলতা দূর হয়। আর পাপীদের সঙ্গ মনে আনে আবর্জনা।

৬. তিন উপায়ে মারেফাত লাভ হয়। যথাঃ (ক) আল্লাহর মাহাত্ম্য ও কৌশল সম্বন্ধে আলোচনা করা যে, কেমন করে কিসের ব্যবস্থা করা হল? (খ) আল্লাহর দুনিয়ার নিয়ম-কানুন ও রীতি-নীতি সম্পর্কে সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ আলোচনা করা যে, কেমন করে কিভাবে তা প্রতিষ্ঠিত হল? (গ) আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কিত বিষয়ে গভীরভাবে গবেষণা করা যে, কিভাবে তা আত্মপ্রকাশ করল?

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।