হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর দর্শনে মহিলাদের বিভ্রান্তি-পর্ব ৩
হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর দর্শনে মহিলাদের বিভ্রান্তি-পর্ব ২ –পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তখন তিনি নিজ পরিবারের ইজ্জত রক্ষা ও নির্দোষ ইউসুফ (আঃ)-কে প্রতিপালনের বিষয় নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হলেন। বিশেষ করে ইউসুফ (আঃ)-এর প্রতি রাজমহলের উচ্চপদস্থ মহিলাদের প্রেম নিবেদন জনিত ঘটনার তাঁকে যথেষ্ট বিব্রত করে তুলল। তখন তিনি রাজ দরবারের দায়িত্ব থেকে তিন দিনের ছুটি নিয়ে নিজ মহলে বসে শুধু ভাবনা চিন্তা করেই সময় অতিবাহিত করতেন। ইতোমধ্যে তাঁর স্ত্রী জোলেখা এসে আজিজ মেছেরের নিকট বললেন, ইউসুফ এর প্রতি রাজ দরবারের রমনীবৃন্দ যেভাবে আকৃষ্ট হয়েছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে কোন একটা অঘটন ঘতে যেতে পারে, তাই আমার মতে ইউসুফকে এখন কারাগারে প্রেরণ করা উত্তম। তাহলে রমণীদেরকে যেমন নিবৃত্ত করা যাবে অনুরূপ ইউসুফকেও নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব হবে।
আজিজ মেছের জোলেখার মন্তব্য শুনে কিছুটা স্বস্তিবোধ করলেন। কারণ জোলেখাই ইউসুফের প্রতি অধিক আসক্ত। সে যখন ইউসুফকে কারাগারে প্রেরণের প্রস্তাব দিয়েছে তখন সমস্যা অনেকটা কেটে গেছে। তাঁর অনিচ্ছায় কিছু করলে সে আত্নহত্যা করতে পারত বা আজিজ মেছেরের জীবনের অর্জিত সকল ধন-সম্পদ উড়িয়ে দিতে পারত অথবা অন্য কোন বিরাট দুর্ঘটনা ঘটিয়ে সারা জীবনের অর্জিত মান-সম্মান বিলিন করে দিতে পারত। অতএব তিনি বিষয়টির একটি যথাযোগ্য সমাধান পেয়ে আল্লাহ্র দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অতপর তিনি আর বিলম্ব না করে জেল কর্মকর্তাদেরকে হুকুম দিলেন, “তোমরা স্পেশাল ব্যবস্থাধীন, সম্মান প্রদর্শন পূর্বক ইউসুফ কে কারাগারে নিয়ে যাও।” সেখানে কয়েদিভাবে তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা কর। সে যেন কয়েদি হিসেবে বিবেচিত না হয় বরং একজন রাষ্টীয় অতিথি হিসেবে যেন সম্মান লাভ করতে পারে।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর দর্শনে মহিলাদের বিভ্রান্তি-পর্ব ১–পড়তে এখানে ক্লিক করুন