পুনরায় ফেরআউন প্রাসাদে মূসা (আঃ) – শেষ পর্ব
পুনরায় ফেরআউন প্রাসাদে মূসা (আঃ) দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ওদিকে আছিয়ার একই যুক্তি-এটা কিছুতেই সুপরিকল্পিত হতে পারে না বরং এটা শিশুর প্রকৃতিসুলভ চপল আচরণ মাত্র। এর পিছনে কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে না। তবে তা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। পরীক্ষার ফলাফল আপনার কথিত সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হলে আপনি যা করতে চান কার্যকর করবেন, তাতে আপত্তির কোন কারণ থাকবে না।
কিভাবে পরীক্ষা করা হবে এ ব্যাপারে ফেরআউন আছিয়ার মতামত জানতে চায়। আছিয়া বলেন, এ শিশুর এক পাশে দুটি লাল হীরক খন্ড এবং অন্য পাশে দুটি জ্বলন্ত অঙ্গার রাখা হোক।
যদি হীরক খন্ড ধরে তবে প্রামাণিত হবে যে, সে বুঝে শুনে, সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই আপনার সাথে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করেছে। আর যদি জ্বলন্ত অঙ্গার ধরে তবে আমার কথাই ঠিক এই শিশুসুলভ চপলতা মাত্র। ফেরআউন আছিয়ার এমন একাট্য যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য অবশেষে মেনে নেয়।
তার মোসাহেবরাও না মেনে পারছিল না। সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিশু মূসার এক পাশে লাল হীরক খন্ড এবং অপর পাশে জ্বলন্ত অঙ্গার রাখা হয়। মূসা (আঃ) হীরক খন্ডের প্রতি হাত বাড়াতে যাবেন। অমনি জীবরাঈল (আঃ) এসে জ্বলন্ত অঙ্গারের দিকেই তার হাত ফিরিয়ে দেন। তিনি জ্বলন্ত অঙ্গারের কিছু অংশ নিয়ে মুখে পুরেন। এতে তাঁর জিহ্বার কিছু অংশ পুড়ে যায়।
আছিয়া তাড়াতাড়ি থাবা মেরে শিশু মূসার হাত থেকে অঙ্গারের অবশিষ্টাংশ ফেলে দেন। এবার তিনি ফেরআউন কে লক্ষ্য করে বলেন, এখন তো বাস্তব প্রামাণ পেলেন যে, আপনার সাথে কৃত এ শিশুর আচরণ শিশুসূলভ চপলতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আছিয়ার অকাট্য যুক্তি দেখানো বাস্তব প্রমাণ ফেরাউন এবং তার মোসাহেব পরিষদবৃন্দ নীরবে স্থান ত্যাগ করে। এভাবে মহান আল্লাহ তাঁর অপার কুদরতে হযরত মূসা (আঃ) কে ফেরআউনের ক্রোধাগ্নির কবল থেকে হিফাজত করেন।
পুনরায় ফেরআউন প্রাসাদে মূসা (আঃ) প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন