
রোহান ও তার বন্ধুরা থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাত ২টা পর্যন্ত মজা করল। এবার হলে ফেরার পালা।
তারা ৭ জন, কিন্তু রিকশা পেলো দুটো।
“চল রোহান, এক রিকশায় চারজন উঠে পড়ি!”
“নাহ রে! তোরা যা, আমি আসতে পারব।”
বন্ধুরা অনেক বোঝাল, কিন্তু রোহান একা হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল।
চারপাশ নিস্তব্ধ। দূরে কোথাও একটা কুকুরের ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে আছে, ফ্যাকাশে চাঁদের আলোয় স্থির।
রোহান অন্ধকারকে সঙ্গী করে হাঁটছিল…
রিকশায় সেই অস্বাভাবিক যাত্রা
হঠাৎ সে একটা রিকশা দেখতে পেল।
“ভাই, হলে যাবেন?”
“জ্বী যামু।”
“কত?”
“১০ টাকা দিলেই হবে।”
রোহান চমকে গেল। এতো রাতে, যেখানে কোনো রিকশা নেই, সেখানে ২০ টাকার ভাড়া চাইবার বদলে ১০ টাকা!!
যাই হোক, বেশি কিছু না ভেবে সে রিকশায় চড়ে বসল।
শুনশান রাত। চারপাশে নীরবতার কবর। শুধু রিকশার চাকা আর রোহানের কাঁপুনি।
রিকশা চলতে চলতে গোরস্থানের সামনে এলো।
হঠাৎ রোহান কেমন যেন অদ্ভুত একটা অনুভূতি পেল…
কোনো এক অজানা আতঙ্কে সে কেঁপে উঠল!
সে নিচে তাকিয়ে দেখল—
রিকশাওয়ালা উল্টো পায়ে প্যাডেল চাপছে!! 😨
রোহান এতক্ষণ তার মুখের দিকে তাকায়নি। কিন্তু এবার দেখতে চাইল।
চেহারা দেখার চেষ্টা করতেই…
সে স্তব্ধ! তার শিরদাঁড়া দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে গেল!
“এ কি!! এটা কীভাবে সম্ভব??”
এই ভয়ের মধ্যেই সে হলে পৌঁছে গেল।
এক মুহূর্তও দেরি না করে টাকা দিয়ে দৌড়ে রুমের দিকে চলে গেল!
আর কিছুতেই রিকশাওয়ালার দিকে তাকানোর সাহস পেল না…
তাকালে হয়তো দেখতে পেত—
সেই লোভী, ভয়ঙ্কর চোখের দৃষ্টি! 😨
ভয়াবহ রাত
রুমে ঢুকেই বন্ধু সাকিবকে সব বলল রোহান।
সাকিব সান্ত্বনা দিয়ে বলল,
“তুই বরঞ্চ আজ রাতে আমার রুমে থেকে যা।”
রোহান রাজি হলো।
মধ্যরাত।
রোহান, সাকিব—দুজনেই ঘুমিয়ে গেছে।
এরপর…
কেউ একজন রোহানের গায়ে আঁচড় কাটল!
রোহান চমকে উঠল!
“সাকিব! মাঝরাতে দুষ্টুমি করিস না!”
কিন্তু কোনো উত্তর এল না…
সকালের বিভীষিকা
সকালে সূর্যের আলো চোখে পড়তেই সাকিবের ঘুম ভাঙল।
কিন্তু…
উঠেই সে চিৎকার করে জ্ঞান হারালো!
বেলা ১০টা।
সাকিবের রুমের সামনে অগণিত ছাত্রের ভিড়!
রুমের ভেতর…
রোহানের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন লাশ ঝুলছে!
আর…
রোহানের কাটা মুন্ডুটা সাকিবের টেবিলের উপর রাখা!!
কেউ জানে না রোহান কীভাবে মারা গেল!
সাকিবের চোখ স্থির…
অপলক দৃষ্টিতে সে তাকিয়ে আছে তার পুরনো বন্ধুর কাটা মাথার দিকে।
বন্ধু ছিল ওরা… অনেক দিনের!
অনেক দিনের…