►একটা পরীর সাথে◄

ঘটনাটা আমার বাবাকে নিয়ে। আমি শুনেছি আমার দাদার মুখে। ১৯৭৭ সাল। আমার দাদা তখন সপরিবারে নওগাঁতে থাকতেন। আমার বাবারা ৭ ভাই। বাবারা সবাই রাতের বেলা এক রুমেই থাকতেন। ঘটনার শুরু এখান থেকেই। বাবা তখন ৭ম শ্রেণিতে পড়তেন।

প্রতি রাতেই সবাই খেয়ে দেয়ে ঘুমোতে যেত। কিন্তু হঠাৎ একদিন আমার অন্য চাচারা খেয়াল করলেন যে, রাত যখন গভীর হয়, তখন পুরো ঘর আলোয় আলোকিত হয়ে যায় (বিঃ দ্রঃ তখন আমার দাদার বাসায় কারেন্টের লাইন ছিল না)। তারপর উনারা দেখেন, একটা ফুটফুটে সুন্দরী মেয়ে আসে, লাল শাড়ি পরা। তারা চুপচাপ শুয়ে দেখতে লাগলেন, কী হয়।

ঐ মেয়েটা বাবার হাত ধরে নিয়ে যেত। বাবা যেন ঘুমের ঘোরে থাকতেন। তারপর আবার ভোরবেলা বাবাকে ফিরিয়ে দিয়ে যেত। পরপর কয়েকদিন এই একই ঘটনা ঘটতে থাকে।

অবশেষে একদিন আমার চাচারা ঘটনাটা আমার দাদাকে জানান। সেদিন দাদু আমার অন্য চাচাদের আরেক রুমে থাকতে বলে নিজেই গেলেন বাবার সঙ্গে ঘুমানোর জন্য। সেদিনও অন্যান্য রাতের মতো, আনুমানিক মধ্যরাতে সেই মেয়েটি এলো এবং বাবাকে নিয়ে গেল। এদিন আমার দাদু তাদের পিছন পিছন যেতে লাগলেন।

কিছুদূর হাঁটার পর দাদু দেখলেন, মেয়েটি বাবাকে নিয়ে একটা পুরোনো কবরস্থানের ভেতর ঢুকছে। দাদু ভয়ে জমে গেলেন। একা ছিলেন বলে তিনি ভেতরে না ঢুকে বাইরেই অপেক্ষা করতে লাগলেন। আস্তে আস্তে রাত কেটে ভোর হলো। তখন দাদু দেখলেন, বাবা সেই কবরস্থান থেকে বের হয়ে আসছে।

এরপর দাদু নানা রকমভাবে চিকিৎসা করে বাবাকে এর প্রভাবমুক্ত করার চেষ্টা করেন। একসময় কাজ হয়। বাবাকে রাতের বেলা সেই মেয়েটি আর নিতে আসত না। কিন্তু বাবা একটানা অনেকদিন অসুস্থ ছিলেন এই ঘটনার পর।

তবে আমার বাবার এখনও একটা সমস্যা রয়ে গেছে। তিনি কখনই কোনো কাজে সফল হতে পারেন না। কী বলব সেই মেয়েটিকে?

►রাজসাক্ষী◄

►শ্মাশানঘাট (শেষ অংশ)◄

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *