হিংস্র ও হারাম প্রাণী সংক্রান্ত মু’যিযা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নবুওয়াত সম্পর্কে নেকড়ের সাক্ষাৎ

হযরত আবূ হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একটি নেকড়ে এক রাখালের ছাগ পালের একটি বকরীকে আক্রমণ করল। রাখাল সাথে সাথে ঝাঁপিয়ে পরে বাঘের কবল থেকে ছাগলটিকে উদ্ধার করে নিল। অতঃপর নেকড়েটি একটি টিলার উপর বসে রাখালকে ডেকে বলল। আল্লাহ্‌ আমাকে যে খাবার দিয়েছিলেন তুমি তা ছিনিয়ে নিয়েছ। রাখাল অবাক হয়ে বলল, কি তাজ্জবের কাণ্ড! একটি নেকড়ে বাঘ মানুষের মত কথা বলছে। এমন তো আর কখনো দেখা যায়নি। রাখালের কথার জবাবে নেকড়ে পুনরায় বলল এর চেয়ে আরো অধিক তাজ্জবের বিষয় হল ঐ খেজুর বাগানের পেছনের প্রস্তুর ভুমি অর্থাৎ আরব দেশে এমন এক ব্যক্তির আবির্ভাব হয়েছে, যিনি আনুপূর্বিক সকল বিষয় বলে দিতে পারেন (এই কথার দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কথা বোঝানো হয়েছে)।

বর্ণনাকারী হযরত আবূ হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাখালটি ছিল ইহুদী। ঐ ঘটনার পর সে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর খেদমতে হাজির হয়ে সকল ঘটনা বর্ণনা পূর্বক ইসলাম গ্রহণ করল। (শারহুসসুন্নাহ)

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।