হালাল খাদ্যের বিস্ময়কর ঘটনা
হযরত আবূ সুলায়মান দারানী (রহঃ) বলেন, আমি পাহাড় থেকে নাকড়ী সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতাম। এর মধ্যে আমি তাকওয়া ও হালালের চিন্তা ফিকির করতাম। স্বপ্নে আমি বহু বার একদল আউলিয়া কেরামের দর্শন লাভ করলাম। এদের মধ্যে হযরত হাসান বসরী হযরত মালেক বিন দিনার এবং হযরত ফারক্কাদ সারখী (রহঃ) প্রমুখ ছিলেন।
আমি তাদের কাছে আরজ করলাম, হে আইম্মায়ে মুসলিমীন! আমাকে হালাল খাদ্যের একটা রাস্তা দেখিয়ে দিন যা গ্রহণ করলে আল্লাহর নিকট কোন হিসাব দিতে হবে না। অথচ সৃষ্টির কোন সাহায্যও নিতে হবে না। একথা শুনে তারা আমার হাত ধরলেন এবং তার সোস শহর থেকে মারজ বস্ত্রীর দিকে নিয়ে গেলেন। সেখানে খুববাজী নামক ঔষধ ছিল। এ হল হালাল খাদ্য, এর কোন হিসাব আল্লাহ পাক নেবেন না এবং মাখলুকাতের দয়ার প্রয়োজন হবে না।
হযরত সুলায়মান দারানী (রহঃ) বলেন, আমি উক্ত খাদ্য অনেক দিন ধরে খেতে থাকলাম। কাচা পাকা খুববাজি খেতে থাকলাম। ফলে আল্লাহ তা’আলার আমার অন্তর পবিত্র করে দিলেন। আমি বললাম জান্নাতবাসীকে আমার ন্যায় অন্তর দান করা হলে, আল্লাহর কসম তারা শান্তিতে থাকবে।
এ সময় একিদন আমি শহরের দরজা দিয়ে বাইরে বের হলাম। বের হয়ে এক যুবকের দেখা পেলাম। যুবকটি শহরে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। যুবকটি লাকড়ী বিক্রি করত। লাকড়ী বিক্রিয় পয়সা কিছু উদ্ধৃত ছিল। আমি ভাবলাম এগুলোর প্রয়োজন নেই।
আমি এগুলো এ নিঃস্ব ব্যক্তির হাওয়ালা করে দিলে সে তার প্রয়োজনে খরচ করবে। সে নিকটবর্তী হলে পয়সা বের করে তাকে দেয়ার জন্য আমার হাত পকেটে প্রবেশ করালাম। এ সময় আমি তার ওষ্ঠদ্বয় নড়াচড়া করতে দেখলাম। এতে আমার আশ পাশের সমস্ত মাটি স্বর্ণ রৌপ্যে পরিণত হয়ে গেল এবং এগুলোর চকচক আলোতে আমার চোখ ধাধিয়ে উঠল।
হযরত আবূ সুলায়মান দারানী (রহঃ) বনলেন, এ ঘটনার পর আমি আরেকবার শহর থেকে বের হলাম। তখন আমি সে যুবকটিকে বসে থাকতে দেখলাম। তার সম্মুখে একটি পাত্র ছিল। পাত্রটিতে পানিও ছিল। আমি তাকে সালাম করলাম এবং তার সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করলে যুবকটি স্বীয় পা প্রসারিত করে পানির পাত্রটি উল্টে ফেলে দিল। অতঃপর সে বলল, অতিরিক্ত কথা পূণ্য চুষে ফেলে। যেমনিভাবে মাটি পানি চুষে নেয়। তোমার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট।