হযরত হাসান বসরী (রঃ) – পর্ব ২০
হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ১৯ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
৯. আল্লাহ-ভীতির লক্ষণ তিনটিঃ
(ক) যার মনে আল্লাহ্র ভয় আছে, সে রেগে গেলেও বা স্বাভাবিক অবস্থায় সবসময় সত্য কথা বলে। (খ) যে বিষয়ে আল্লাহ্ খুশী নন, সে বিষয়ে মন্দ রিপুগুলিকে তিনি দমন করে রাখেন। (গ) যে কাজে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি লাভ করা যায়, সে কাজেই শুধু ব্যস্ত থাকেন।
১০. এক পলকের পার্থিব অনাসক্তি হাজার বছরের এবাদাত অপেক্ষা মূল্যবান।
১১. অন্তরে বাইরে অমিলই হল প্রবঞ্চনার লক্ষন।
১২. তিনিও প্রকৃত বিশ্বাসী, যিনি আল্লাহ্র শপথ নিয়ে বলতে পারেন যে, তিনি বিশ্বাসী।
১৩. বিশ্বাসীর সংজ্ঞা হলঃ ধীর-স্থির লোক। গোপন গভীর সাধনায় দিন যাপন করেন চাঞ্চল্যহীন। মুখে যা আসে তাই বলেন না।
১৪. তিন শ্রেণীর লোকের নিন্দাবাদ করা সদ্ধ অথবা তাকে পরচর্চা বলে না। যেমনঃ (ক) ইন্দ্রিয়াসক্ত লোভী (খ) প্রকাশ্য ও প্রতিনিয়ত অসদাচার (গ) নিষ্ঠুর অত্যাচারী শাসক ও নেতা।
১৫. পরচর্চার প্রায়ঃশ্চিত হল আল্লাহ্র দরবারে ক্ষমা চাওয়া। যা নিন্দা করা হয় তার থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
১৬. পার্থিব বিষয়াসক্ত মানুষ তিনটি আক্ষেপ নিয়ে মৃত্যু বরণ করে। যেমন- (ক) ধনের উপার্জন ও সঞ্চয়ের অতৃপ্তি (খ) আশা- আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হওয়ার ক্ষোভ (গ) পরকালের পাথেয় অর্জন না করার ব্যথা।
১৭. যে হালকা বোঝা বয়, তার কষ্ট ক্লেশ কম। সে বড় একটা বিপদে পড়ে না। কিন্তু ভারী বোঝা যাকে বইতে হয়, তার বড় কষ্ট। এমনকি সে ধ্বংসেরও সম্মুখীন হতে পারে।
১৮. পার্থিব জীবন যেন গচ্ছিত সম্পত্তি এরূপ যারা মনে করেন, তারা প্রয়োজনে এর মালিকের হাতে জীবন সঁপে দিয়ে দিব্যি চলে যেতে পারেন। তাদের মনে দুঃখ-অশান্তির সৃষ্টি হয় না।
১৯. তিনিই প্রকৃত বুদ্ধিমান, যিনি পার্থিব সৌধ ভেঙে তার ওপর গড়ে তোলেন পারলৌকিক ইমারত। পারলৌকিক ইমারত ভেঙে তিনি পার্থিব প্রাসাদ নির্মাণ করেন না।
হযরত হাসান বসরী (রঃ) – ২১ তম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া