হযরত সাররী সাকতীর নামায

হযরত জোনায়েদ বাগদাদী (রহঃ) বলেন, একদিন আমি সাররী সাকতীকে দেখে চমকে উঠলাম। আমার মনে হল তার দেহটি কোন কঠিন রোগের কারণে শুকিয়ে একেবারেই দুর্বল হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি আমাকে ডেকে বললেন, হে জোনায়েদ আমি ইচ্ছা করলে একথা বলতে পারি যে, আল্লাহর মোহাব্বতের কারণেই আমার দেহের এ অবস্থা হয়েছে।

এ কথা বলেই তিনি  অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। সাথে সাথে তার বিবর্ণ চেহারাটি পূর্ণিমার চাঁদের মতো জ্বল জ্বল করতে লাগল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমি নিকটে গিয়ে তার অবস্থা জিজ্ঞেস করলাম, কিন্তু তিনি সরাসরি আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে নিম্নের বয়াতটি পাঠ করলেন।

অর্থাৎঃ আমি কেমন করে কষ্টের কথা চিকিৎসকের কাছে বলব? কেননা, ঐ চিকিৎসার কারণেই আমি এই কন্ঠে ও মুসীবতে পতিত হয়েছি।

হযরত জোনায়েদ (রহঃ) বলেন, আমি একটি হাতপাখা নিয়ে   তাকে বাতাস করলে তিনি বললেন, হে জোনায়েদ! যার দেহের অভ্যন্তর ভাগ জ্বলে ভষ্ম হয়ে গেছে। পাখার বাতাসে তার সেই  ক্ষতের কোন উপশম হবে কি? অতঃপর নিম্নের বয়াতগুলো পাঠ করলেন।

অর্থাৎঃ আমার অন্তর জ্বলে পুড়ছে আর পঞ্জীভূত দুঃখ অশ্রু গড়াচ্ছে। এশক ও মোহাব্বতের মূসীবতের আবরণে যে ঢাকা পড়েছে কেমন করে সে শান্তি পাবে। তার দুঃখ দূর হয়েছে। হায় পরওয়ারদেগার! কোন বস্তু দ্বারা যদি আমার শান্তি লাভ হয়, তবে যতক্ষণ আমার মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস অবশিষ্ট আছে আমাকে ঐ বস্তু দান কর।

হযরত সাররী সাকতীর নামায

হযরত জোনায়েদ বাগদাদী (রহঃ) বলেন, একদিন আমি সাররী সাকতীকে দেখে চমকে উঠলাম। আমার মনে হল তার দেহটি কোন কঠিন রোগের কারণে শুকিয়ে একেবারেই দুর্বল হয়ে গেছে। কিন্তু তিনি আমাকে ডেকে বললেন, হে জোনায়েদ আমি ইচ্ছা করলে একথা বলতে পারি যে, আল্লাহর মোহাব্বতের কারণেই আমার দেহের এ অবস্থা হয়েছে।

এ কথা বলেই তিনি  অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। সাথে সাথে তার বিবর্ণ চেহারাটি পূর্ণিমার চাঁদের মতো জ্বল জ্বল করতে লাগল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমি নিকটে গিয়ে তার অবস্থা জিজ্ঞেস করলাম, কিন্তু তিনি সরাসরি আমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে নিম্নের বয়াতটি পাঠ করলেন।

অর্থাৎঃ আমি কেমন করে কষ্টের কথা চিকিৎসকের কাছে বলব? কেননা, ঐ চিকিৎসার কারণেই আমি এই কন্ঠে ও মুসীবতে পতিত হয়েছি।

হযরত জোনায়েদ (রহঃ) বলেন, আমি একটি হাতপাখা নিয়ে   তাকে বাতাস করলে তিনি বললেন, হে জোনায়েদ! যার দেহের অভ্যন্তর ভাগ জ্বলে ভষ্ম হয়ে গেছে। পাখার বাতাসে তার সেই  ক্ষতের কোন উপশম হবে কি? অতঃপর নিম্নের বয়াতগুলো পাঠ করলেন।

অর্থাৎঃ আমার অন্তর জ্বলে পুড়ছে আর পঞ্জীভূত দুঃখ অশ্রু গড়াচ্ছে। এশক ও মোহাব্বতের মূসীবতের আবরণে যে ঢাকা পড়েছে কেমন করে সে শান্তি পাবে। তার দুঃখ দূর হয়েছে। হায় পরওয়ারদেগার! কোন বস্তু দ্বারা যদি আমার শান্তি লাভ হয়, তবে যতক্ষণ আমার মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস অবশিষ্ট আছে আমাকে ঐ বস্তু দান কর।

আরো পড়তে পারেন...

খৃষ্টান মহিলার প্রেমে পাগল হওয়ার ঘটনা

বুজুর্গ ব্যক্তি বললেন, একদা আমি হযরত হাসান বসরী (রহঃ) এর দরবারে বসেছিলাম। এমন সময় আমাদের…

এক বুজুর্গের কসমের উছিলায়

হযরত আবূ আব্দুল্লাহ কাররাশী (রাঃ) বলেন, একবার মুশরিক সৈন্যরা স্পেন শহরে প্রবেশ করে বিনা যুদ্ধে…

স্বপ্ন যোগে রাসূলের দিদার।

ইমাম কাফেলায় হাবীবের ঈমানী চেতনার প্রকাশ্য শক্তি যেন কয়েকগুণ বাড়াল। ইমাম হোসাইন (রাঃ) গভীর রাতে…