হযরত শেখ ফরীদউদ্দীন আক্তার (রঃ) – শেষ পর্ব

হযরত শেখ ফরীদউদ্দীন আক্তার (রঃ) – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

কাহিনীর অবতারণা করা হয়েছে পাখিদের নিয়েই। যেমন- উল্লিখিত পাখিরা একদিন এক সভায় মিলিত হয়ে নিজেদের মধ্য থেকে একজন বাদশাহ নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশ করল। এ পদের জন্য সর্বপ্রথম ছী মোরগের নাম প্রস্তাব করল হুদহুদ পাখি। কিন্তু তার প্রস্তাবে কেউ রাজি হল না। কার কী আপত্তি, তাও তারা খুলে বলল। আর প্রত্যেকের বক্তব্য গভীর মনোযোগের সঙ্গে শুনে গেল হুদহুদ। তারপর, একে একে সকলের কথা খণ্ডন করল।

তখন সর্বসম্মতি ক্রমে ছী-মোরগকেই তারা তাদের বাদশা নির্বাচিত করল। তারপর তার কর্মধারা সম্পর্কিত বিষয়গুলিকে গ্রন্থকার প্রশ্নোত্তরের ভঙ্গিতে উপস্থাপিত করেছেন। সাধারনতঃ তরীকতপন্থীদের মনে যে বিষয়গুলিকে জেগে ওঠে, সেগুলিকেই তিনি সংশ্লিষ্ট করেছেন এ গ্রন্থের মাঝে। এ ধরনের একখানি গ্রন্থ হল ‘মানতিকুত তায়ির’। পবিত্র কুরআনের সূরা নমল থেকে গ্রন্থখানির নাম চয়ন করা হয়েছে।

কুরআন হুদহুদ পাখির উল্লেখ আছে। হযরত সুলায়মান (আঃ)-এর প্রিয় পাখি হুদহুদ। বুঝতে পারা যায়, বুদ্ধিমত্তার হুদহুদ পাখিই পক্ষিকুল শিরোমণি। আর হযরত ফরীদউদ্দীন আত্তার (রঃ)-ও তাঁর রচনামালায় হুদহুদকে এক বুদ্ধিদীপ্ত পাখি হিসেবে চিত্রিত করেছেন। পাখি নয়, যেন এক তত্ত্ব-জ্ঞানী হিসেবে কথা বলেছেন।

কবিতা রচনার ব্যাপারেও তিনি সমকালের বহু কবিকে ছাড়িয়ে গেছেন। যাকে অদ্বিতীয় বলা চলে। কেউ কেউ ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নে তাঁর সম্বন্ধে দ্বিমত পোষণ করেন। কিন্তু তাঁর জীবন ও সাহিত্য ছিল সম্পূর্ণ সংশয়মুক্ত ও সুন্দর তত্ত্বজ্ঞানে ভরপুর।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া  

হযরত শেখ ফরীদউদ্দীন আক্তার (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।