হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আকাশে আরোহণ- শেষ পর্ব

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আকাশে আরোহণ- পর্ব ৬ পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

পূর্বেকার উম্মতের ন্যায় আপনার উম্মতের গুনাহ সমাজে প্রকাশ করা হবে না এবং গুনাহের কারণে আকৃতি পরিবর্তন করে বা প্রস্তর নিক্ষেপ করে যে সকল জঘন্য আযাব পূর্বকালের উম্মতগণকে দেয়া হত তা আপনার উম্মতকে দেয়া হবে না। আপনি জানেন? কি কারণে আপনাকে এ মর্যাদা দেয়া হল? তিনি বললেন, আমি আপনার বান্দা হওয়াতে গৌরব মনে করি।

অতঃপর পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে তাঁকে বিদায় করা হল। ষষ্ঠ আকাশে হযরত মূসার সঙ্গে সাক্ষাৎ হওয়ার পর হযরত মূসা জিজ্ঞেস করলেন, আপনার উম্মতের জন্য কি হাদিয়া নিয়ে এসেছেন। রাসূল (সাঃ) বললেন, পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামাজ নিয়ে এসেছি। হযরত মূসা বললেন, আপনার উম্মত নেহায়েত দুর্বল। তাদের পক্ষে তা কখনও সম্ভব হবে না। আমার উম্মত অপেক্ষাকৃত সবল হওয়া সত্ত্বেও দু’ওয়াক্ত আদায় করা মুশকিল হয়ে পড়েছিল। আপনি ফিরে যান, উম্মতের জন্য নামাজের বোঝা কমিয়ে আনেন। রাসূল (সাঃ) ফিরে গেলেন। আল্লাহ পাক পাঁচ ওয়াক্ত কমিয়ে দিলেন। পুনরায় হযরত মূসা (আঃ) অনুরূপ উক্তি করল। তিনি আবার গেলেন। এবার ও পাঁচ ওয়াক্ত কমালেন। কিন্তু মূসা (সাঃ) এবারও তাঁকে ফিরে যেতে অনুরোধ করে কমিয়ে মোট ৪৫ ওয়াক্ত কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত রাখা হল। কিন্তু এ শেষবারেও হযরত মূসা (আঃ) তাঁকে ফিরে যাওয়ার জন্য বিষেশভাবে অনুরোধ করলেন। রাসূল (সাঃ) বললেন, আমার লজ্জা বোধ হয়। আমি আর যাব না। এমন সময় উপর হতে আওয়াজ আসল, হে মুহাম্মাদ! এ পাঁচ ওয়াক্তই ঠিক থাকবে। তবে আমার কথার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয় না। তাই প্রথম ঘোষণা অনুযায়ী পাঁচ ওয়াক্তকে পঞ্চাশ ওয়াক্ত ধরা হবে। কার্যতঃ পাঁচ ওয়াক্ত রইল। কিন্তু আমি পঞ্চাশ ওয়াক্তের সওয়াব প্রদান করব।

অতঃপর রাসূল (সাঃ) চলে আসলেন। প্রথম আসমানে অবতরণ করার পর তিনি নিচের দিকে অসংখ্য ধুয়া ও ধূলা দেখতে পান এবং ভীষণ শোরগোল শুনতে পেলেন। তিনি জিব্রাইল (আঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, তারা কে? জিব্রাইল (আঃ) বললেন, আমার কওম মে’রাজের ব্যাপারে আমাকে বিশ্বাস করে করবে না। জিব্রাইল (আঃ) বললেন, আবু বকর আপনাকে বিশ্বাস করবে। আপনি তাঁর নিকট বলবেন। তিনি সিদ্দিক।

রাসূল (সাঃ) অচিন্তনীয় দূরত্ব নিমিষের মধ্যে অতিক্রম করে স্বস্থানের ফিরে আসলেন। ফজরের সময় জিব্রাইল (আঃ) তাঁর সঙ্গে ফজরের নামজ পড়ে বিদায় হলে এবং জোহরের সময় পুনরায় জিব্রাইল (আঃ) আগমন করে এবং মেরাজে ফরজ হওয়া নামাজ জোহর হতে আরম্ভ করেন। জিব্রাইল (আঃ) ইমাম হয়ে দু’দিন ব্যাপী প্রত্যেক নামজের ওয়াক্তের শুরুতে এবং শেষভাগে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়িয়ে যান। তবে সে দিনের ফজরের নামজ নফল ছিল। ফজরের আরম্ভ জোহর হতে হয়।

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আকাশে আরোহণ- পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন  

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।