হযরত মুছা ও হারুন (আঃ) এর পরলোকগমন-২য় পর্ব
হযরত মুছা ও হারুন (আঃ) এর পরলোকগমন-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অতপর হযরত মুছা (আঃ) ফিরে এসে তার কওমের লোকদের নিকট হারুনের মৃত্যুর সংবাদ জানালেন, তখন তারা বলল, হারুন ছিল আমাদের প্রতি যথেষ্ট সদয়। তার কমল ব্যাবহার এর কথা আমরা কোন দিন ভুলতে পারব না। এখন তার লাশ আমাদের কে দেখতে দাও। হযরত মুছা (আঃ) বললেন, সে লাশ আল্লাহ তায়ালা আসমানে উঠিয়ে নিয়ে গেছে। কওম হযরত মুছা (আঃ) এর কথা বিশ্বাস করল না। তখন তারা হযরত হারুনকে (আঃ) হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠালেন, হযরত মুছা (আঃ) তাদের এ অভিযোগের প্রতিবাদ করে।
নানা রকম বুঝিয়ে বললেন, কিন্তু তারা লাশ দেখতে চাইল। অন্যাথায় হযরত মুছা (আঃ) কে হত্যকারি বলে চিৎকার দিয়ে কওমের মাঝে এক মহাগোলযোগ এর সৃষ্টি হয়। তখন হযরত মুছা (আঃ) কওমের অত্যচার থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করলেন, কথিত আছে হযরত মুছা (আঃ) এর ফরিয়াদের প্ররিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা হযরত হারুনের লাশ কিছু সময়ের জন্য তিয়া ময়দানে হাজির করে দিয়েছিলেন। যা দর্শন করে বনি ইসরাইল এর লোকেরা অপবাদ থেকে নিবৃত্ত হয়েছিল।
হযরত মুছা (আঃ) নিজ কওমের সাথে অবাধ্যতা, সারা জীবনে অবিশান্ত কর্ম তৎপরতা, শারীরিক দুর্বলতা বিশেষ করে হযরত হারুনের অন্তর্ধানের কারনে খুব মর্মাহত হলেন। তার জীবনে সকল উদ্দীপনা স্তিমিত হয়ে এল। তখন তিনি নিজ দায়িত্ব ইউসা (আঃ) এর উপর অর্পন করে নিজে কিছুটা বিশ্রাম গ্রহন করলেন। তার এ দূর্বল ক্ষনে একদিন হযরত আজরাইল (আঃ) তার ছালাম দিলেন। হযরত মুছা (আঃ) আজরাইল কে জিজ্ঞাসা করলেন ,আপনি কি আমার জান কবজ করার জন্য এসেছেন। আজরাইল (আঃ) বলল, জি হ্যাঁ। আল্লাহ তায়ালার পরর্তীত স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে আপনার জানটা কবজ করার সময় হয়ে গেছে। হযরত মুছা (আঃ) তখন জিজ্ঞাসা করলেন আপনি কি আমার জানটা মুখ থেক বের করে নিবেন? অথচ এই মুখ দিয়ে আমি আল্লাহ তায়ালার সাথে সরাসরি কথা বলেছি। তখন জিবরাঈল (আঃ) বললেন, তাহলে চোখ দিয়ে বের করে নিব।
হযরত মুছা (আঃ) বললেন, এই চোখ দিয়ে আমি আল্লাহর নুর দেখেছি। তবে নাক দিয়ে নেব। হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার দিদারের মুহুর্তে সে পরিবেশের বেহেস্তী সুঘ্রাণ আমি নাক দ্বারা নিয়েছি। হযরত আজরাই (আঃ) তখন বললেন, আমি অত কথার জবাব দিতে আসি নি। সময় শেষ অতএব আমার যে ভাবে ইচ্ছা আমি সেই ভাবে জান কবজ করে নিব। তখন হযরত মুছা (আঃ) আজরাইল এর কথায় ক্রোধিত হয়ে বিয়াদপ বলে তার গালে এক চপেটাঘাত করলেন। ফলে আজরাইল এর চক্ষু দুটি বের হয়ে গেল।
সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী
হযরত মুছা ও হারুন (আঃ) এর পরলোকগমন-৩য় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন