হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ১ম অংশ

হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার নিকট বহু পূর্বে থেকে উম্মতের জন্য পরিপূর্ণ একখানা শরীয়ত গ্রন্থ দাবি করে আসছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তার দাবি পুরণের ওয়াদা করছিলেন। সে মর্মে ফেরাউনের সাথে জেহাদী জীন্দগীর অবসানান্তে আল্লাহ তায়ালা নবীকে শরিয়ত গ্রন্থ প্রদানের নিমিত্ত তুর পাহাড়ে গমনের জন্য অহি মারফত নির্দেশ দিলেন।

হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ পেয়ে খুব খুশি হলেন। হযরত মুছা (আঃ) এর কতিপয় বিদ্বান উম্মত নবীর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বলল, হে নবী! আপানাকে আল্লাহ তায়ালা কি ভাবে গ্রন্থ প্রদান করবে সে দৃশ্য আমরা একটু দেখতে চাই। অতএব আমরা আপনার সাথে তুর পাহাড়ে যাব। নবী তাদের কথা শুনে খুশি হলেন এবং বললেন, আপনারা কত জন যেতে চান বলুন। তখন তারা বাছাই করে সত্তর জন লোক নির্বাচন করলেন। এবং হযরত মুছা (আঃ) কে তাদের লোক সংখ্যার কথা জানিয়ে দিলেন।

 হযরত মুছা (আঃ) তাদের কে সম্মতি দিলেন। যাত্রার পূর্ব দিন হযরত মুছা (আঃ) সঙ্গীদেরকে বললেন, আপনারা আপনাদের নিজেদের পোশাক ভাল ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন। আমরা আগামি দিন রওয়ানা করব। সকলে হযরত মুছা (আঃ) এর আদেশ অনুসারে চুল কেটে নখ ফেলে, জামা পরিষ্কার করে নিলেন। পরের দিন হযরত মুছা (আঃ) সঙ্গীদের নিয়ে তুর পাহাড়ের দিকে রওয়ানা হলেন। পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছানোর পর তার প্রতি আদেশ হল একাধারে ত্রিশ দিন রোজা রাখুন। হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ ত্রিশ দিন রোজা রাখলেন।  অতপর তিনি পাহাড়ের উপর অবস্থান করলেন।

এ সময় তিনি সুগন্ধি গাছের পাতা মুখে দিয়ে চিবাতে ছিলেন। তখন আল্লাহ তায়ালার পক্ষে থেকে জিজ্ঞাসা করা হল তুমি কি চিবুচ্ছ। হযরত মুছা (আঃ) বললেন, আমি দীর্ঘ দিন রোজা রেখেছি। মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে ভেবে একটি সুগন্ধি পাতা মুখে দিয়েছি। তখন তাকে বলা হল রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তায়ালা অধিক পছন্দ করেন। অতএব তুমি এ কাজ টি ভুল করেছ। এ জন্য তোমাকে আরও দশ দিন রোজা রাখতে হবে। হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার আদেশ অনুসারে দশটি রোজা রাখতে আরম্ভ করলেন। অতপর রোজার শেষদিন শেষ না হতেই হযরত মুছা (আঃ) সত্তর জন সঙ্গী নিয়ে তুর পাহাড়ের দিকে রওয়ানা করলেন। সঙ্গীদের তিনি বললেন, তোমরা আস আমি একটু পূর্বেই যাত্রা করি।

সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী

হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   

Written By

More From Author

হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ১ম অংশ

হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার নিকট বহু পূর্বে থেকে উম্মতের জন্য পরিপূর্ণ একখানা শরীয়ত গ্রন্থ দাবি করে আসছিলেন। আল্লাহ তায়ালা তার দাবি পুরণের ওয়াদা করছিলেন। সে মর্মে ফেরাউনের সাথে জেহাদী জীন্দগীর অবসানান্তে আল্লাহ তায়ালা নবীকে শরিয়ত গ্রন্থ প্রদানের নিমিত্ত তুর পাহাড়ে গমনের জন্য অহি মারফত নির্দেশ দিলেন।

হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ পেয়ে খুব খুশি হলেন। হযরত মুছা (আঃ) এর কতিপয় বিদ্বান উম্মত নবীর ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে বলল, হে নবী! আপানাকে আল্লাহ তায়ালা কি ভাবে গ্রন্থ প্রদান করবে সে দৃশ্য আমরা একটু দেখতে চাই। অতএব আমরা আপনার সাথে তুর পাহাড়ে যাব। নবী তাদের কথা শুনে খুশি হলেন এবং বললেন, আপনারা কত জন যেতে চান বলুন। তখন তারা বাছাই করে সত্তর জন লোক নির্বাচন করলেন। এবং হযরত মুছা (আঃ) কে তাদের লোক সংখ্যার কথা জানিয়ে দিলেন।

 হযরত মুছা (আঃ) তাদের কে সম্মতি দিলেন। যাত্রার পূর্ব দিন হযরত মুছা (আঃ) সঙ্গীদেরকে বললেন, আপনারা আপনাদের নিজেদের পোশাক ভাল ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে নিন। আমরা আগামি দিন রওয়ানা করব। সকলে হযরত মুছা (আঃ) এর আদেশ অনুসারে চুল কেটে নখ ফেলে, জামা পরিষ্কার করে নিলেন। পরের দিন হযরত মুছা (আঃ) সঙ্গীদের নিয়ে তুর পাহাড়ের দিকে রওয়ানা হলেন। পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছানোর পর তার প্রতি আদেশ হল একাধারে ত্রিশ দিন রোজা রাখুন। হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ ত্রিশ দিন রোজা রাখলেন।  অতপর তিনি পাহাড়ের উপর অবস্থান করলেন।

এ সময় তিনি সুগন্ধি গাছের পাতা মুখে দিয়ে চিবাতে ছিলেন। তখন আল্লাহ তায়ালার পক্ষে থেকে জিজ্ঞাসা করা হল তুমি কি চিবুচ্ছ। হযরত মুছা (আঃ) বললেন, আমি দীর্ঘ দিন রোজা রেখেছি। মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে ভেবে একটি সুগন্ধি পাতা মুখে দিয়েছি। তখন তাকে বলা হল রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহ তায়ালা অধিক পছন্দ করেন। অতএব তুমি এ কাজ টি ভুল করেছ। এ জন্য তোমাকে আরও দশ দিন রোজা রাখতে হবে। হযরত মুছা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার আদেশ অনুসারে দশটি রোজা রাখতে আরম্ভ করলেন। অতপর রোজার শেষদিন শেষ না হতেই হযরত মুছা (আঃ) সত্তর জন সঙ্গী নিয়ে তুর পাহাড়ের দিকে রওয়ানা করলেন। সঙ্গীদের তিনি বললেন, তোমরা আস আমি একটু পূর্বেই যাত্রা করি।

সূত্রঃ কুরআনের শ্রেষ্ঠ কাহিনী

হযরত মুছা (আঃ) এর আল্লাহ কর্তৃক দর্শন লাভ- ২য় অংশ পড়তে এখানে ক্লিক করুন   

Written By

More From Author

You May Also Like

ভাঙ্গা খেলনার গল্প

রাতুল ছিল তার বাবা-মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তার কোনো কিছুরই অভাব ছিল না। সে যা…

সীতাভোগ খাওয়ার জ্বর

গোপাল আর তার প্রাণের বন্ধু নেপাল নৌকায় করে একবার চাঁদপুর যাচ্ছিল। নৌকোয় ছয়জন মাঝি ছাড়া…

লোকসান দু’পয়সা

গোপাল একবার নদীর ঘাটে ঘাটের ইজারা নিয়েছিল। নদীর ফেরী ঘাটের ইজারাদার গোপাল ভাড়া ছয় পয়সা…