হযরত মারইয়ামের জন্ম ও কর্ম জীবন – শেষ পর্ব
হযরত মারইয়ামের জন্ম ও কর্ম জীবন – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
মারইয়াম নামাজ শেষ করে খালুজান কে ছালাম দিলেন। হযরত জাকারিয়া (আঃ) দুঃখিত ও লজ্জিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন মা! তুমি এ কয়দিন কেমন ছিলে? আমি এক মহা বিপদের মুখে নিপতিত হয়ে তোমার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। যার ফলে তোমার খবর নিতে পারি নি। তুমি এ জন্য আমাকে ক্ষমা কর। হযরত মারইয়াম বলল, খালুজান! আপনি কি বলছেন। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। আপনি তো ভোরবেলা এসব খাদ্য দিয়ে গেলেন। এখন দুপূর না হতেই আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, আমি কয়দিন কেমন ছিলাম।
কয়দিন আপনি কোথায় ছিলেন। আপনি নিয়মিত দৈনিক দু’বার আমার খোঁজ- খবর নিচ্ছেন এবং আমার খাদ্য পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে গত দিনের খাদ্য সম্ভার ছিল একটু ব্যতিক্রম। এত রকমারী খাদ্য আপনি আর কোন দিন এখানে নিয়ে আসেন নি। যার দশ ভাগের এক ভাগ আমি সারাদিন খেতে পারি নি। এখন আপনার প্রকৃত অর্থ আমার বোধগম্য হচ্ছে না। হযরত জাকারিয়া (আঃ) তখন আল্লাহ তায়ালার কুদরতী লীলার নিদর্শন উপলব্ধি করলেন এবং বললেন, মা! তুমি যা বলেছ সবই সত্য। কিন্তু এর মধ্যে আল্লাহ তায়ালার এক রহস্যময়ী কীর্তির নিদর্শনের বিকাশ ঘটেছে।
আমি বিগত চারদিন পূর্বে তোমাকে তালাবদ্ধ করে রেখে যাওয়ার পরে এক বিপদ এর সম্মুখীন হই। যাতে করে তোমার কথা সম্পর্ণ ভুলে যাই। চার দিন পরে যখন তোমার কথা আমার স্মরণ হয় তখন আমি পাগলের ন্যায় এখানে ছুটে এসে দেখি তোমার সম্মুখে বিভিন্ন রকম খাবার সজ্জিত এবং তুমি নামাযে দণ্ডায়মান, তখন আমি কিছুটা শান্ত হই। অতপর তোমার মুখের বর্ণনা শুনে আমি আরও অবাক হই। বিগত চার দিন যাবত যে আমি তোমার খবর নিতে পারি নি। আল্লাহ তায়ালা তোমাকে আদৌ আঁচ করতে দেন নি। তিনি ফেরেস্তা দ্বারা তোমার নিয়মিত খোঁজ খবর নিয়েছেন। এটা ছিল আল্লাহ তায়ালার এক অপূর্ব রহমতের নিদর্শন। মা! তুমি নিয়মিত আল্লাহ তায়ালার এবাদাত বন্দেগী করে যাও। তোমার অদৃষ্টে আল্লাহ তায়ালা হয়ত আরো অনেক নেয়ামত রেখেছেন। যা তুমি পর্যায়ক্রমে লাভ করতে সক্ষম হবে।
হযরত মারইয়ামের জন্ম ও কর্ম জীবন – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন