হযরত মারইয়ামের জন্ম ও কর্ম জীবন – পর্ব ২
হযরত মারইয়ামের জন্ম ও কর্ম জীবন – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
পানির উপর ভেসে থাকল। তখন সকলে হযরত জাকারিয়া (আঃ) কে অনুরোধ করলেন মারইয়াম এর প্রতিপালনের জন্য। হযরত জাকারিয়া (আঃ) সকলের অনুরোধে মারইয়াম এর প্রতিপালনের দায়িত্ব গ্রহন করলেন। তিনি মারইয়ামের জন্য বাইতুল মোকাদ্দাসের মধ্যে এক পাশে একটি কক্ষ নির্ধারিত করে দিলেন। সেখানে বসে এবাদাত বন্দেগী করবে এবং শুধুমাত্র হযরত জাকারিয়া (আঃ) এর বাসায় যাতায়াত করবে।
হযরত জাকারিয়ার স্ত্রী মারইয়াম এর খালা মারইয়ামের ললাটে এক উজ্জ্বলতা লক্ষ্য করে বুঝতে পারলেন এই মেয়েটা কোন সাধারণ মেয়ে নয়। বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ কোন এক মহান ব্যক্তি এর মাঝে লুকিয়ে আছে। ভবিষ্যতে এর সন্তানের ,মধ্যে হয়ত আল্লাহ তায়ালা মহামানবের মর্যাদা দান করবে। তাই তিনি মারইয়াম কে যথেষ্ঠ আদর করতেন এবং প্রাণপণ সেবা-যত্ন করতেন।
প্রথম জীবনে অধিকাংশ সময় মারইয়ামের তাঁর খালার নিকট কাটান। পরবর্তী অধিকাংশ সময় মসজিদে তাঁর নির্দিষ্ট কক্ষে এবাদাতে মগ্ন থাকতেন। হযরত জাকারিয়া (আঃ) বাইরের থেকে উক্ত কক্ষে তালা বন্ধ করে রাখতেন। একদা হযরত জাকারিয়া (আঃ) মারইয়াম কে তালা বন্ধ করে রেখে এসে এমন সমস্যায় পতিত হলেন, চার দিন যাবত তিনি আর মসজিদে যেতে পারেন নি। চার দিন পরে হঠাত মারইয়ামের কথা তাঁর মনে পড়ল তখন তিনি আতঙ্কিত হয়ে উঠলেন। চার দিন যাবত মারইয়ামের খানা পিনা বা খোঁজ- খবর না নিয়ে ফেলে রেখেছেন। তাঁর অদৃশ্যে না জানি কি দূর্ভোগ ঘটে গেছে। এ চিন্তায় পাগলের ন্যায় দৌড়ে এসে কক্ষের তালা খুলে দেখলেন মারইয়াম নামাযে দণ্ডায়মান আছে। তাঁর চার পাশে না রকম ফলমূল ও খাদ্যের সমারোহ। তখন তিনি পাঠ করলেন আলহামদুলিল্লাহ।
হযরত মারইয়ামের জন্ম ও কর্ম জীবন – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন