হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – শেষ পর্ব

হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৭. কেউ যদি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যুগের সমস্ত সাধক ওলামায়ে কেরামের কার্যবলী ও গুণাবলী অর্জন করেও মনে এই ধারণা পোষণ করেন, যে, তিনি এক মহান ওলী হিসেবে গণ্য হয়েছেন, তবে তিনি কোনদিনই আরেফের মর্যাদা লাভ করবেন না। কেননা মারেফাতের প্রকৃত মর্ম হল, স্বচ্ছ হৃদয়ে আল্লাহর যিকিরের সঙ্গে সঙ্গে ফকিরী অবলম্বন করা।

৮. অন্তর পবিত্র রাখা তথা আল্লাহর মারেফাত সম্বন্ধে সর্বদা সতর্ক ও স্বচ্ছ থাকা, আল্লাহর মর্জি মাফিক কাজ করা, মানুষের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক রাখা – এগুলিই হল তাসাওউফ। আর দীনতার ভাব প্রকাশ করা। আত্মগোপন করে অপরিচিত হয়ে থাকা, অনাবশ্যক কাজ থেকে বিরত থাকা এগুলিই হল ফকিরী।

৯. নবীরাসূলগণের অন্তর আল্লাহ পাকের দর্শনে ও সিদ্দীকগণের অন্তর দর্শনলাভের চেষ্টায় নিয়োজিত।

অন্তিম মুহুর্তে তাঁর অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তোমরা আমাকে সে কথা জিজ্ঞেস করো না। তারা বলল কালেমা তাইয়্যেব পাঠ করুন। তখন দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে স্বগতোক্তি করলেন- আমার যা কিছু সব আপনাকে বিলিয়ে দিলাম। আপনাকে যে ভালোবাসে তার পুরস্কার কি এই? ত্রিশ বছর ধরে আমার কাছে জান্নাত হাজির করা হচ্ছে, আমি তার দিকে ফিরেও তাকাইনি। তিনি আরও বললেন, ত্রিশ বছর হল আমি আমার মন হারিয়ে ফেলেছি। তা ফিরে পাওয়ার আর আশা করিনি। এ কথা বলা মাত্র তাঁর প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেল।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Written By

More From Author

হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – শেষ পর্ব

হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – পর্ব ২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

৭. কেউ যদি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যুগের সমস্ত সাধক ওলামায়ে কেরামের কার্যবলী ও গুণাবলী অর্জন করেও মনে এই ধারণা পোষণ করেন, যে, তিনি এক মহান ওলী হিসেবে গণ্য হয়েছেন, তবে তিনি কোনদিনই আরেফের মর্যাদা লাভ করবেন না। কেননা মারেফাতের প্রকৃত মর্ম হল, স্বচ্ছ হৃদয়ে আল্লাহর যিকিরের সঙ্গে সঙ্গে ফকিরী অবলম্বন করা।

৮. অন্তর পবিত্র রাখা তথা আল্লাহর মারেফাত সম্বন্ধে সর্বদা সতর্ক ও স্বচ্ছ থাকা, আল্লাহর মর্জি মাফিক কাজ করা, মানুষের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক রাখা – এগুলিই হল তাসাওউফ। আর দীনতার ভাব প্রকাশ করা। আত্মগোপন করে অপরিচিত হয়ে থাকা, অনাবশ্যক কাজ থেকে বিরত থাকা এগুলিই হল ফকিরী।

৯. নবীরাসূলগণের অন্তর আল্লাহ পাকের দর্শনে ও সিদ্দীকগণের অন্তর দর্শনলাভের চেষ্টায় নিয়োজিত।

অন্তিম মুহুর্তে তাঁর অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, তোমরা আমাকে সে কথা জিজ্ঞেস করো না। তারা বলল কালেমা তাইয়্যেব পাঠ করুন। তখন দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে স্বগতোক্তি করলেন- আমার যা কিছু সব আপনাকে বিলিয়ে দিলাম। আপনাকে যে ভালোবাসে তার পুরস্কার কি এই? ত্রিশ বছর ধরে আমার কাছে জান্নাত হাজির করা হচ্ছে, আমি তার দিকে ফিরেও তাকাইনি। তিনি আরও বললেন, ত্রিশ বছর হল আমি আমার মন হারিয়ে ফেলেছি। তা ফিরে পাওয়ার আর আশা করিনি। এ কথা বলা মাত্র তাঁর প্রাণবায়ু বেরিয়ে গেল।

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত মমশাদ দীনুরী (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন

Written By

More From Author