হযরত দাউদ (আঃ) এর পুত্রের দূরদর্শিতা-শেষ পর্ব
হযরত দাউদ (আঃ) এর পুত্রের দূরদর্শিতা-৪র্থ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
হযরত দাউদ (আঃ) তখন বৃদ্ধা কে খবর দিতে বললেন, বৃদ্ধা খলিফার কথা শুনে তড়িৎ তাঁর সম্মুখে হাজির হল। খলিফা বৃদ্ধা কে জিজ্ঞাসা করলেন, বৃদ্ধা তুমি এমন কি কাজ করেছে যে আল্লাহ তায়ালা তোমার এ বিপুল ধন-সম্পদের মালিক করেছেন।
বৃদ্ধা বলল, হুজুর আমি তেমন বিশেষ কোন নেক কাজ করেছি বলে আমার মনে পড়ে না । তবে একদিন এক ভিক্ষুক আমার বাসায় এসে বলল, মা! আমি তিন দিনের উপবাসি, আমাকে কিছু ক্ষেতে দাও। ক্ষুধায় আমার জান বেরিয়ে যাচ্ছে। তখন আমি ঘরে গিয়ে দেখলাম ঘরে সামান্য এক টুকরা রুটি ছাড়া ঘরে আর কিছু নেই। তখন আমি রুটি টুকরা এনে ভিক্ষুক খেতে দিলাম। ভিক্ষুক তখন রুটি টুকরা খেয়ে বলল, এতে আমার ক্ষুধার জ্বালা আদৌ মিটে নি। অতএব আমাকে আর কিছু খেতে দাও। তখন আমি তাকে বললাম, বাবা আমার ঘরে আর কিছু নেই।
তবে কিছু সময় অপেক্ষা করন আমি আটা এনে তোমাকে রুটি করে দিই, এ কথা বলে আমি রুটি আনতে গিয়ে বাতাসের সম্মুখীন হই এবং আটা সম্পর্ণ উড়িয়ে নেয়। তখন আমি আপনার দরবারে গিয়ে বাতাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করি। আপনি ও শাহাজাদা ছোলায়মান দোয়াকরে বাতাস কে হাজির করে ডুবন্ত জাহাজের যে অর্ধেক সম্পদ আমাকে প্রদান করেছিলেন উহা ছিল আমার উন্নতির প্রধান কারণ। উক্ত সম্পদের অধিকারি হওয়ার পরে আমার ছেলেরা বিদেশের সাথে ব্যবসা বানিজ্য করে।
তাতে আল্লাহ আমাকে অনেক বরকত দিয়েছে। আমি অনেক অর্থ সম্পদ এর মালিক হয়েছি। গোটা শহরে আমার চেয়ে অধিক সম্পদশালী কেউ আছে বলে আমার জানা নেই। হুজুর! আপনি আমাকে এখানে সম্পদশালীকরে দিয়েছেন। এবার পরকালের মুক্তির ব্যবস্থা করে দিন। হযরত দাউদ (আঃ) বললেন, তুমি যে সম্পদ পেয়েছ তা তোমার আটার বদলে পেয়েছ। বাকি ভিক্ষুকের আপ্যায়নের প্রতিফল আল্লাহ তায়ালা তোমাকে পরকালে দান করবেন।
হযরত দাউদ (আঃ) এর পুত্রের দূরদর্শিতা-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন