হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-৮ম পর্ব
হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-৭ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
তখন হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর প্রধান মন্ত্রী আসফ সাত মহলের দরজা খুলে অতি অল্প সময়ের ভিতরে সিংহাসন টি শাহী দরবারে নিয়ে আসল। হযরত ছোলায়মান (আঃ) সিংহাসন দেখে বললেন, এটার কিছু সংস্কার কর। সম্মুখের পাথর গুলা পরিবর্তন করে নতুন পাথর লাগিয়ে দাও। যাতে সিংহাসন টি চিন্তে রাণীর অধিক ভাবনা চিন্তা করতে হয়। এর মধ্যে তাঁর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পাওয়া যাবে। কিছু সময় পরে শাহান শাহের নিকট রাণীর আগমন বার্তা পৌঁছে গেল।
শাহান শাহ রানীকে রাজ মহলে নিয়ে আসার জন্য আদেশ দিলেন এবং তিনি সম্মুখস্ত নহরের দিকে তাকিয়ে রইলেন। রাণী নহরের নিকট এসে নিজ পরিধানের কাপড় একটু উঠিয়ে সম্মুখে অগ্রসর হলেন। অতপর তিনি একটি মুদ্রা সম্মুখে নহরের মধ্যে নিক্ষেপ করলেন। মুদ্রাটি কাচের উপরে শব্দ করে একপাশে ছিটকে গেল। তখন রাণী উঠিয়ে রাখা কাপড় ছেড়ে দিয়ে সম্মুখে অগ্রসর হলেন। রাণী যখন কাপড় উঁচু করলেন তখন শাহান শাহ তাঁর পায়ের প্রতি লক্ষ করে দেখলেন, তাঁর পায়ে কোন পশমের চিহ্ন নেই।
দ্বিতীয়ত নহরের উপর মুদ্রা ফেলে পথের সঠিক অবস্থা নির্নয় করে নিলেন। এতে শাহেন শাহ বুঝ নিলেন যে, রানী জীন নয় মানুষ এবং তাঁর বুদ্ধিমত্ততা অত্যন্ত তীক্ষ্ণ। জীনেরা তাঁর নিকট যে সমস্ত অভিযোগ পেশ করেছিল তা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক। তাই রাণীর প্রতি বিশ্বাস ও আকর্ষন বৃদ্ধি পেল।
রাণী শাহান শাহের সম্মুখে পৌঁছে ছালাম দিলেন এবং তাকে মুসলমান করে নেওয়ার জন্য আবেদন পেশ করেন। হযরত ছোলায়মান (আঃ) এ কাজে আর দেরি না করে তাকে তওবা ও কালিমা পাঠ করালেন। রাণী তখন শাজান শাহের বিবাহিত স্ত্রী রুপে ধন্যা হবার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করলেন। শাহান শাহ বললেন, সেটা পরে হবে। এখন আপনি আমার পাশের সিংহাসনের উপবেশ করুন। রাণী সিংহাসনখানি দেখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন।
তখন হযরত ছোলায়মান (আঃ) জিজ্ঞেস করলেন আপনার নিজস্ব সিংহাসন কেমন? রাণী বললেন আমার সিংহাসন আর কেমন হবে। এটাই দেখে নিতে পারেন। হযরত ছোলায়মান (আঃ) রাণীর বিচক্ষণতা দেখে বেশ মুগ্ধ হলেন এবং তাকে ধন্যবাদ দিলেন। রাণী বললেন, হে মহাত্নন! আপনার দোয়া ও ছোহবত পেলে আমি জীবনে আরও ধন্য হব। আপনি আমাকে সে ভাগ্য দান করুন।
হযরত ছোলায়মান (আঃ) এর বিবাহ-শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন