হযরত খালেদ ইবনে আস (রাঃ) কে দাওয়াত প্রদান – শেষ পর্ব

ইসলাম গ্রহণের পর হযরত খালেদ (রাঃ) আত্মগোপন করিয়া রহিলেন।  তাঁহার পিতা-পুত্রের ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে জানিতে পারিয়া তাঁহাকে তালাশ করিতে লোক পাঠাইলেন।  হযরত খালেদ (রাঃ) কে পিতার সামনে হাজির করা হইল।  পিতা তাঁহাকে খুব শাসাইলেন এবং হাতের চাবুক দ্বারা এমন মার মারিলেন যে, তাঁহার মাথার উপর চাবুক ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন।  অতঃপর বলিলেন, খোদার কসম, তোমার খানা পিনা বন্ধ করে দিব।  হযরত খালেদ (রাঃ) বলিলেন, আপনি যদি চান খানাপিনা বন্ধ করিয়া দেন তবে নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আমাকে বাঁচিয়া থাকার মত রিজিক দান করিবেন।  ইহা বলিয়া তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফিরিয়া আসিলেন। তিনি সর্বদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে পড়িয়া থাকিতেন ও তাঁহার সাথে সাথে থাকিতেন।  (বিদায়াহ)

অপর এক রেওয়াতে বর্ণিত আছে যে, হযরত খালেদ (রাঃ) ইসলাম গ্রহণের পর আশে পাশে কোথাও পিতা হইতে আত্মগোপন করিয়া রহিলেন। তারপর যখন সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) হাবশার দিকে দ্বিতীয় বার হিজরত করিলেন। তখন তিনিই সর্বপ্রথম হিজরত করিলেন।

হযরত খালেদ ইবনে সাঈদ (রাঃ) হইতে অপর এক রেওয়ায়াতে বর্ণিত হইয়াছে যে, (তাঁহার পিতা) সাঈদ ইবনে আস ইবনে উমাইয়া যখন অসুস্থ হইল তখন বলিলেন, আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে এই রোগ হইতে সুস্থ করেন তবে মক্কার যমীনে ইবনে আবি কাবশা (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর খোদার এবাদত কখনও হইতে দিব না।  হযরত খালেদ (রাঃ) সেই সময় দোয়া করিলেন, হায় আল্লাহ, আপনি তাঁহাকে এই রোগ হইতে সুস্থ করিবেন না।  সুতরাং সেই রোগেই তাঁহার মৃত্যু হইল। (ইবনে সা’দ)    

সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আরো পড়তে পারেন...

ছোটগল্প: কেনাবেচা দরদাম — মাহবুব আলী

১. পোড়া চোখ, সে কিছু দেখেনি। দেখেও কিছু দেখেনি। বুঝেও কিছু বোঝেনি। বুড়ি মানুষ। সবকিছুতে…

রোমান সেনাপতি মাহানের তাঁবুতে খালিদ বিন ওয়ালিদ—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

ইয়ারমুকের যুদ্ধ তখনও শুরু হয়নি। সম্রাট হেরাক্লিয়াসের প্রধান সেনাপতি মাহানের অধীনে কয়েক লক্ষ সৈন্য সম্পূর্ণ…

উবাদা ইবনে সামিতের শপথ রক্ষা—আমরা সেই সে জাতি –– আবুল আসাদ

খলীফা উমার (লা) শাসনকাল। মুয়াবিয়া তখন সিরিয়অর শাসনকর্তা। মদীনার খাযরাজ গোত্রের হযরত উবাদা ইবন সামিত…

হযরত খালেদ ইবনে আস (রাঃ) কে দাওয়াত প্রদান – শেষ পর্ব

ইসলাম গ্রহণের পর হযরত খালেদ (রাঃ) আত্মগোপন করিয়া রহিলেন।  তাঁহার পিতা-পুত্রের ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে জানিতে পারিয়া তাঁহাকে তালাশ করিতে লোক পাঠাইলেন।  হযরত খালেদ (রাঃ) কে পিতার সামনে হাজির করা হইল।  পিতা তাঁহাকে খুব শাসাইলেন এবং হাতের চাবুক দ্বারা এমন মার মারিলেন যে, তাঁহার মাথার উপর চাবুক ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন।  অতঃপর বলিলেন, খোদার কসম, তোমার খানা পিনা বন্ধ করে দিব।  হযরত খালেদ (রাঃ) বলিলেন, আপনি যদি চান খানাপিনা বন্ধ করিয়া দেন তবে নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা আমাকে বাঁচিয়া থাকার মত রিজিক দান করিবেন।  ইহা বলিয়া তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট ফিরিয়া আসিলেন। তিনি সর্বদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে পড়িয়া থাকিতেন ও তাঁহার সাথে সাথে থাকিতেন।  (বিদায়াহ)

অপর এক রেওয়াতে বর্ণিত আছে যে, হযরত খালেদ (রাঃ) ইসলাম গ্রহণের পর আশে পাশে কোথাও পিতা হইতে আত্মগোপন করিয়া রহিলেন। তারপর যখন সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) হাবশার দিকে দ্বিতীয় বার হিজরত করিলেন। তখন তিনিই সর্বপ্রথম হিজরত করিলেন।

হযরত খালেদ ইবনে সাঈদ (রাঃ) হইতে অপর এক রেওয়ায়াতে বর্ণিত হইয়াছে যে, (তাঁহার পিতা) সাঈদ ইবনে আস ইবনে উমাইয়া যখন অসুস্থ হইল তখন বলিলেন, আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে এই রোগ হইতে সুস্থ করেন তবে মক্কার যমীনে ইবনে আবি কাবশা (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর খোদার এবাদত কখনও হইতে দিব না।  হযরত খালেদ (রাঃ) সেই সময় দোয়া করিলেন, হায় আল্লাহ, আপনি তাঁহাকে এই রোগ হইতে সুস্থ করিবেন না।  সুতরাং সেই রোগেই তাঁহার মৃত্যু হইল। (ইবনে সা’দ)    

সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন