হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – শেষ পর্ব
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ১২ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ইন্তেকাল ও দাফনঃ একথা সর্বজন বিদিত যে মানুষ মরণশীল। জন্মিলে মরতে হয়। এ নীতির উপর ভিত্তি করে বিশ্ব নিয়ন্তা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের প্রিয় হাবীব নিখিল বিশ্বের ত্রাণকর্তা সুপারিশের কান্ডারী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মত নবীও মৃত্যুর তুহিন শীতল করস্পর্শ হতে পরিত্রাণ পাননি। তদ্রূপ রুহানী জগতের খাঁটি প্রজ্ঞাদাতা হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) ও একদিন চির বিদায়ের ইঙ্গিত প্রাপ্ত হলেন তার মহা প্রস্থানের সময় ঘনাইয়া আসল। ইতিহাস পাঠে জানা যায়, তার মৃত্যু সম্বন্ধে কথিত আছে যে আলেমকুলের শিরমণি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী যে রাত্রে ইহধাম ত্যাগ করেছিলেন, সেই রাত্রিতে বিশ্বনিয়ন্তা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের অসংখ্যাক অলীআল্লাহ্ খোয়াব দেখতে পান যে সাইয়্যেদুল মুরসালিন হযরত মুহাম্মদ (সঃ) বলতেছেন মঈনুদ্দীন আল্লাহ্ পাকের বন্ধু।
আমরা তাকে অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করবার জন্য আগমন করছি। ইতিহাস বেত্তারা বলেন, হিজরী ৬২৭ সালের ৬ই রজব তারিখে ইশার নামাজ আদায় করবার পর সূফী সাধক হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) নিজ কক্ষে ঢুকলেন এবং ভিতর হতে উক্ত কামরা বন্ধ করে দিলেন, ক্রমে ফজরের সময় হল। অতীব দুঃখের বিষয় হল প্রতিদিনের মত আর হুজুরার দরজা খুলল না। খাদেমগণ অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন। পরিশেষে দরজা ভেঙ্গে দেখা গেল যে বায়ু শেষ হয়ে গেছে। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। খাজা সাহেবের ইহধাম ত্যাগের সংবাদ শুনে জনসাধারণ অত্যন্ত মর্মাহত হয়। দেশ বিদেশ হতে মানুষের ঢল নেমে আসল। তার জানাজায় নামাজে অসংখ্যা লোক শরীক হন। তার সুযোগ্য পুত্র খাজা ফখরুদ্দিন (রঃ) জানাযার নামাজ পড়ান। তিনি যে হুজরায় মৃত্যু বরণ করেন সেই হুজরাতেই তাকে দাফন করা হয়।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন