হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ১০
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ৯ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
রামদেব ও অজয় পালের ইসলাম গ্রহনঃ ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় পৃথ্বিরাজ ভাবছিলেন যে আলেমকুলের শিরোমণি হযরত খাজা সাহেব একজন অসামান্য যাদুকর, বহু চিন্তা ভাবনা করার পর শেষ পর্যন্ত তৎকালীন নামকরা যাদুকর রামদেবও অজয় পালকে পরপর তলব করলেন। রাজার আদেশ পেয়ে তারা তড়িৎগতিতে খাজা সাহেবের নিকট হাজির হল। ঐ সময় সূফী সাধক হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী (রঃ) ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। তাদের আগমনে ধ্যান ভঙ্গ করে তাদের প্রতি জ্যোতির্ময় দৃষ্টি নিক্ষেপ করলেন। একথা সর্বদা মনে রাখতে হবে হেদায়েত করার মালিক একমাত্র আল্লাহই, সত্যিই মুহূর্তের মধ্যে রামদেব ও অজয় পালের হৃদয়ে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা দেখা দিল।
মহান করুণার আঁধার আল্লাহ্ জাল্লা শানুহুর কুদরত কে বুঝতে পারে, তাৎক্ষণিকভাবে তারা রুহানী জগতের খাঁটি প্রজ্ঞাদাতা হযরত খাজা সাহেবের পদপ্রন্তে লুটিয়ে পড়ল এবং ইসলামের ছায়া তলে আশ্রয় নিল। প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ সাহেবের পদপ্রন্তে লুটিয়ে পড়ল এবং ইসলামের ছায়া তলে আশ্রয় নিল। প্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ একটু ভেবে দেখুন আল্লাহ্র অলীকে তাড়াতে এসে তারা নিজেরাই ইসলাম ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করলেন। আলেমকূলের শিরমণি হযরত খাজা মঈনুদ্দীন চিশতী রামদেবের ইসলাম গ্রহণ করার পর তার নাম রাখলেন মুহাম্মদ সাদী, অভিধান সূত্রে জানা যায়, সাদী অর্থ ভাগ্যবান। পরবর্তীতে রামদেব কামেল ওলী হিসেবে সুনাম সুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন। অজয় পাল ইসলাম গ্রহণ করার পর খাজা সাহেব তার নাম রাখেন আবদুল্লাহ বিয়াবানী।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতি (রঃ) – পর্ব ১১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন