হযরত খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রঃ) – ৬ষ্ঠ পর্ব

হযরত খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রঃ) – ৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এ আধুনিক ধরার বুকে মানুষ উছিলা স্বরু রাজ্য ও রাজা কিংবা কোনও নেতার সংস্পর্শহীন ভাবে কোন ক্রমেই টিকে থাকতে পারে না।  প্রতিটি মানুষের জন্য একটি আবাসভূমির দরকার এবং ভূখন্ডের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার রক্ষার জন্য একজন সুদক্ষ রাজা বা প্রশাসক থাকা একান্ত অপরিহার্য।  তা না হলে রাজ্যে বির্শঙ্খলা ও অশান্তি দেখা দেয়া স্বাভাবিক।  আধ্যাত্মিকতাঁর ভাষায় রাজ্য বলতে এখানে বুঝায় দেহকে এবং মন হল তাঁর রাজা বা প্রশাসক।  মনের কার্য প্রতিক্রিয়া অনুসারে দেহের যাবতীয় অঙ্গ প্রতঙ্গ পরিচালিত হয়।  তাই দেহ রাজ্যকে নিয়ন্ত্রন করতে হলে মনকে কঠোর সাধনার বা সংযমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করতে হবে।  অতএব, মানুষের চিত্তবৃত্তিকে আকবর হিসেবে ধরে নেয়া যায়।  ইন্তেকালঃ ঐতিহাসিক মতে হিজরী সাত পঁচিশ সালের ১১ই রবিউল আওয়াল মাস। 

দিল্লীর আকাশে বাতাসে দেখা  গিয়েছে কাল মেঘের ঘনঘটা।  দীর্ঘ ৮৯ বছর দ্বীন ও ইসলামের খেদমতে অতিবাহিত করে খাজা মাহবুবে ইলাহী  সুলতান আউলিয়া হযরত নিজামউদ্দীন (রঃ) মহান প্রভুর চূড়ান্ত সান্নিধ্যে উপস্থিত হলেন।  তাঁর মৃত্যুর পর দিল্লীর  তথা মুসলিম জাহানের ভাগ্যকাশে নেমে এল মহাদুর্যোগ।  মাহবুবে এলাহি খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রঃ) এর ইন্তেকালের পর অগণিত লোকের ঢল নেমে আসল গিয়াসপুরে।  সকলের মাঝেই কেমন যেন এক শোকের ছায়া বেদনার সুর।  কি যেন নাই, কেমন যেন এক শোকার্ত হাহাকারের দিল্লীর আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠল।  দিল্লীর আনাচে কানাচে একই ক্রন্দন রোল।  ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইল্লাহি রাজিউন।  হযরত খাজা নিজামউদ্দিন (রঃ) যতদিন এ পৃথিবীর বুকে জীবিত ছিলেন, ততদিন কেউ তাঁর মর্যাদা, ফজিলত ও রুহানী জগতের অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকেবহাল ছিল না।  তবে যারা তাঁর সত্যকারে মর্যাদা ও ফজিলত সম্পর্কে সচেতন ছিলেন, তাদের মাঝেই তাঁর বিরোধ বেদনার সুর প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল। যে দিকেই তাকানো  যায়, সে দিকেই শুধু হাহাকারের বেদনার একান্ত বিলাপ।

কবি প্রকৃতই বলেছিলেন, তোমার হৃদয়ে যে কি সুর ছিল

কাদিছে তাই মোর হিয়া,

পাষান ভেদিয়া প্রবাহিত ধারা

চির জনমের তরে ব্যথিত করিলে মোরে

উপরোক্ত কবিতার ছন্দে অবশ্যি করুন সুর এর আভাস পাওয়া যায়।  সেই শোকের ছায়া নেমে এসেছিল সারা দিল্লীর বুকে, জনমের আজ আর কোন শান্তি নেই, আনন্দ নেই, নেই কোন সাচ্ছন্দ্য, তাঁর তুলনা করা যায় না। 

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রঃ) – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

হযরত খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রঃ) – ৬ষ্ঠ পর্ব

হযরত খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রঃ) – ৫ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন

এ আধুনিক ধরার বুকে মানুষ উছিলা স্বরু রাজ্য ও রাজা কিংবা কোনও নেতার সংস্পর্শহীন ভাবে কোন ক্রমেই টিকে থাকতে পারে না।  প্রতিটি মানুষের জন্য একটি আবাসভূমির দরকার এবং ভূখন্ডের শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার রক্ষার জন্য একজন সুদক্ষ রাজা বা প্রশাসক থাকা একান্ত অপরিহার্য।  তা না হলে রাজ্যে বির্শঙ্খলা ও অশান্তি দেখা দেয়া স্বাভাবিক।  আধ্যাত্মিকতাঁর ভাষায় রাজ্য বলতে এখানে বুঝায় দেহকে এবং মন হল তাঁর রাজা বা প্রশাসক।  মনের কার্য প্রতিক্রিয়া অনুসারে দেহের যাবতীয় অঙ্গ প্রতঙ্গ পরিচালিত হয়।  তাই দেহ রাজ্যকে নিয়ন্ত্রন করতে হলে মনকে কঠোর সাধনার বা সংযমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রন করতে হবে।  অতএব, মানুষের চিত্তবৃত্তিকে আকবর হিসেবে ধরে নেয়া যায়।  ইন্তেকালঃ ঐতিহাসিক মতে হিজরী সাত পঁচিশ সালের ১১ই রবিউল আওয়াল মাস। 

দিল্লীর আকাশে বাতাসে দেখা  গিয়েছে কাল মেঘের ঘনঘটা।  দীর্ঘ ৮৯ বছর দ্বীন ও ইসলামের খেদমতে অতিবাহিত করে খাজা মাহবুবে ইলাহী  সুলতান আউলিয়া হযরত নিজামউদ্দীন (রঃ) মহান প্রভুর চূড়ান্ত সান্নিধ্যে উপস্থিত হলেন।  তাঁর মৃত্যুর পর দিল্লীর  তথা মুসলিম জাহানের ভাগ্যকাশে নেমে এল মহাদুর্যোগ।  মাহবুবে এলাহি খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রঃ) এর ইন্তেকালের পর অগণিত লোকের ঢল নেমে আসল গিয়াসপুরে।  সকলের মাঝেই কেমন যেন এক শোকের ছায়া বেদনার সুর।  কি যেন নাই, কেমন যেন এক শোকার্ত হাহাকারের দিল্লীর আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠল।  দিল্লীর আনাচে কানাচে একই ক্রন্দন রোল।  ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইল্লাহি রাজিউন।  হযরত খাজা নিজামউদ্দিন (রঃ) যতদিন এ পৃথিবীর বুকে জীবিত ছিলেন, ততদিন কেউ তাঁর মর্যাদা, ফজিলত ও রুহানী জগতের অবস্থা সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকেবহাল ছিল না।  তবে যারা তাঁর সত্যকারে মর্যাদা ও ফজিলত সম্পর্কে সচেতন ছিলেন, তাদের মাঝেই তাঁর বিরোধ বেদনার সুর প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছিল। যে দিকেই তাকানো  যায়, সে দিকেই শুধু হাহাকারের বেদনার একান্ত বিলাপ।

কবি প্রকৃতই বলেছিলেন, তোমার হৃদয়ে যে কি সুর ছিল

কাদিছে তাই মোর হিয়া,

পাষান ভেদিয়া প্রবাহিত ধারা

চির জনমের তরে ব্যথিত করিলে মোরে

উপরোক্ত কবিতার ছন্দে অবশ্যি করুন সুর এর আভাস পাওয়া যায়।  সেই শোকের ছায়া নেমে এসেছিল সারা দিল্লীর বুকে, জনমের আজ আর কোন শান্তি নেই, আনন্দ নেই, নেই কোন সাচ্ছন্দ্য, তাঁর তুলনা করা যায় না। 

সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া

হযরত খাজা নিজামউদ্দিন আউলিয়া (রঃ) – শেষ পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন