হযরত কালুত (আঃ)

হযরত কালুত (আঃ)-এর নসব নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কোন কোন বর্ণনায় হযরত ইয়াকুব (আঃ)-এর পুত্র হযরত শামাউন (আঃ)-এর বংশোদ্ভুত ব্যক্তি ছিলেন কালুত। আবার কোন কোন বর্ণনায় উক্ত হয়েছে যে, হযরত কালুত (আঃ) হযরত নূহ (আঃ)-এর পৌত্র লোকনা বিন শামুনের পুত্র ছিলেন।

হযরত মূসা (আঃ)-এর ভগ্নি মরিয়মের সাথে তার বিবাহ হয়েছিল। হযরত কালুত (আঃ) অত্যন্ত উত্তম স্বভাব-চরিত্র ও আচরণাদির অধিকারী ছিলেন। হযরত ইউশা বিন নূন (আঃ)-এর ইন্তিকালের পর আল্লাহ তায়ালা তাকে নবুয়ত প্রদান করেছিলেন। তিনি তার উপর অর্পিত নবুয়তের দায়িত্ব অত্যন্ত সাফল্যের আনযাম দিয়েছিলেন।

তার নবুয়তের সময় সলম নামক এক রাজ্য ছিল। সে রাজ্যের নাম ছিল বারাক। সে ছিল অত্যন্ত জালেম। হযরত কালুত (আঃ) তার রাজ্যে গমন করে তার সামনে খাটি দ্বীনের রূপ তুলে ধরলেন এবং তাকে এ দ্বীন গ্রহণের আহবান করলেন। জালিম বারাক কালুত (আঃ)-এর আহবানে সাড়া তো দিলই না বরং জালিম বাদশাহ তা প্রত্যাখ্যান করে হযরত কালুত (আঃ)-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে ঘোরতর যুদ্ধ শুরু হল। যুদ্ধে বাদশাদর প্রায় দশ হাজার সৈন্যের ভবলীলা সাঙ্গ হল।

বাকী সৈন্য পৃষ্ট প্রদর্শন করে পালিয়ে প্রান বাঁচাল। পরাজয় বরণের পরও বাদশাহ বারাক ইসলাম গ্রহণ করল না। তখন হযরত কালুত (আঃ) বাদশাহকে তার সত্তরজন সহচরসহ বন্দী করে মিশর নিয়ে আসলেন। বাদশাহ মিশরের গমনের পর ইসলাম গ্রহণ করে এবং হযরত কালুত (আঃ) অনুগত্য স্বীকার করে নেয়। এর অল্প কিছুদূর পরেই হযরত কালুত (আঃ) আল্লাহর দরবারে প্রস্থান করলেন। ইন্তিকালের পূর্বে তিনি স্বীয় পুত্র ইউশাবুসকে নিজের স্থলাভিষিক্ত করে যান।

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।