হযরত ওমর (রাঃ) এর হিজরত ও আযান
মক্কায় মুসলমানদের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পেয়েছে কুরাইশ মুশরিকদের সিংসা ও বিদ্বেষের আগুনও ততই উদ্দীপ্ত হয়েছে। প্রথম দিকে তাঁরা নিছক প্রকৃতিগত হিংস্রতা ধর্মীয় আবেগের বশবর্তী হয়ে মুসলমানদের কষ্ট দিয়েছিল। কিন্তু এখন রাজনৈতিক স্বার্থেই মুসলমানদের উপর চরম নির্যাতন চালাতে উদ্যোগী হল। সত্যি বলতে কি ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে অস্বাভাবিক আবেগ, দৃঢ়তা, আদর্শনিষ্ঠা উৎসর্গত মনো ভাব না থাকলে তাঁদের ঈমানের উপর দৃঢ়পদ থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াত।
হযরত ওমর (রাঃ) নবুয়্যাতের সপ্তম বছর ইসলাম গ্রহণ করেন আর নবুয়্যাতের দ্বাদশ বছর হিজরত অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে তিনি ইসলাম গ্রহনের পর ছয়-সাত বছর পর্যন্ত কুরাইশদের হাতে নির্যাতন ভোগ করেন। মুসলমানদের মদীনার দিকে হিজরত করার অনুমতি দানের পর হযরত ওমর (রাঃ) মদীনা সফরে উদ্যোগী হল। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অনুমতি নিয়ে কতিপয় মুসলমানকে সাথে নিয়ে মদীনার পথে রওয়ানা হল। প্রথমে অস্ত্রসজ্জিত হয়ে মুশরিকদের দল ভেদ করে কা’বা শরীফে পৌঁছলেন। অন্যন্ত নিশ্চিন্ত ভাবে তওয়াফ করলেন ও নামায পড়লেন।
অতপর মুশরিকদেরকে সম্বোধন করে বললেন, যে আমার মোকাবেলা করতে চাও মক্কার বাইরে এসে মোকাবেলা কর। কিন্তু কেউ হিম্মত করে এগিয়ে আসেনি। কাজেই তিনি মদীনা রওয়ানা হয়ে গেলেন। হযরত ওমর (রাঃ) মদীনায় পৌঁছে কুবার রিফায়া ইবনে আবদুল মানযারের মেহমান হন। কুবার দ্বিতীয় নাম আওয়ালী। তাই মুসলিম শরীফে তাঁর অবস্থানগৃহে আওয়ালী নামে উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত ওমর (রাঃ) এর পর অধিকাংশ সাহাবা হিজরত করেন।
অবশেষে ৬৩২ ঈসায়ী সনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিজেও মক্কা থেকে বের হয়ে মদিনায় পৌঁছেন। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদীনা আগমের পর দেশত্যাগী মুহাজিরগণের অবস্থান ও কর্ম সংস্থানের এমন ব্যবস্থা করেন। যার ফলে মদীনার আনসারগণের আথে তাঁদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কে গড়ে উঠে। এ সময় নিজেদের ধন-সম্পদে মুহাজির ভাইদেরকে আধাআধি শরিক নেন। এ সম্পর্কে কায়েম করার ক্ষেত্রে মর্যাদা ও মর্তবার প্রতিও বিশেষ নজর রাখা হয়। অর্থাৎ যে মুহাজির যে পর্যায়ের ও যে মর্যাদার অধিকারী ছিলেন তাঁকে সম পর্যায়ে মর্যাদাসম্পন্ন আনসারদের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কে আবদ্ধ করা হয়।
এ হিসাবে হযরত উৎবা ইবনে মালিক (রাঃ) ওমর (রাঃ) এর ইসলামী ভাইরুপে গণ্য হন। তিনি ছিলেন বনি সালেম গোত্রের সম্মানীয় প্রধান। মদীনার ইসলাম মক্কার ন্যায় অক্ষম অসহায় ছিল না। রবং এখন থেকে মুক্তি ও নিশ্চিতার যুগ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কর্তব্য ও প্রধান দায়িত্বপূর্ণ কাজসমূহ নির্ধারিত করার সময় উপস্থিত হয়েছিল। উপরন্তু মুসলমানদের সংখ্যা দিনের পর দিন বিপুল ভাবে বেড়ে যাচ্ছিল। তাঁরা দূরবর্তী পাড়াপল্লীসমূহে বসতি স্থাপন করছিল। এজন্য নামাযে কথা ঘোষণা করার জন্য কোন পদ্ধতি নির্ধারণ করা প্রয়োজন দেখা দিল। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সর্বপ্রথম এরই ব্যবস্থা করতে ছয়-সাত বছর পর্যন্ত কুরাইশদের হাতে নির্যাতন ভোগ করেন।
মুসলমানদের মদিনার দিকে হিজরত করার অনুমতি দানের পর হযরত ওমর (রাঃ) মদীনা সফরে উদ্যেগী হল। তিনি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অনুমতি পেয়ে কতিপয় মুসলমানকে সাথে নিয়ে মদীনার পথে রওয়ানা হল। প্রথমে অস্ত্র-সজ্জিত হয়ে মুশরিকদের দল ভেদ করে কা’বা শরীফে পৌঁছালেন। অত্যন্ত নিশ্চিন্ত ভাবে তওয়াফ করলেন ও নামায পড়লেন। অতপর মুশরিকদেরকে সম্বোধন করে বললেন, যে আমার মোকাবেলা করতে চাও মক্কার বাইরে এসে মোকাবেলা কর।
কিন্তু কেউ হিম্মত করে এগিয়ে আসেনি। কাজেই তিনি মদীনায় রওয়ানা হয়ে গেলেন। হযরত ওমর (রাঃ) মদীনায় পৌঁছে কুবার রিফায়া ইবনে আবদুল মানযায়ের মেহমান হন। কুবার দ্বিতীয় নাম আওয়ালী। তাই মুসলিম শরীফে তাঁর অবস্থানগৃহকে আওয়ালী নামে উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত ওমর (রাঃ) এর অধিকাংশ সাহাবা হিজরত করেন। ৬৩২ ঈসায়ী সনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিজেও মক্কা থেকে বের হয়ে মদীনায় পৌঁছে।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মদীনা আগমনের পর দেশত্যাগী মুহাজিরগণের অবস্থান ও কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করেন। যার ফলে মদীনায় আনসারগণের সাথে তাঁদের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। এসময় নিজেরদের ধন-সম্পদে মুহাজির ভাইদেরকে আধাআধি শরিক করে নেন। এ সম্পর্কে কায়েম করার ক্ষেত্রে মর্যাদা ও মর্তবার প্রতিও বিশেষ নজর রাখা হয়। অর্থাৎ হে মুহাজির যে পর্যায়ে মর্যাদার অধিকারী ছিলেন তাঁকে সম পর্যায়ে মর্যাদাসম্পন্ন আনসারদের সাথে ভ্রাতৃপূর্ণ সম্পর্কে আবদ্ধ করা হয়। এ সিহাবে হযরত উৎবা ইবনে মালিক (রাঃ) ওমর (রাঃ) এর ইসলামী ভাইরূপে গণ্য হন।
তিনি ছিলেন বনি সালেম গোত্রের সম্মানীয় প্রধান। মদিনার ইসলাম মক্কার ন্যায় অক্ষম অসহায় ছিল না। রবং এখন থেকে মুক্তি ও নিশ্চিন্ততাঁর যুগ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কর্তব্য ও প্রধান দায়িত্বপূর্ণ কাজসমূহ নির্ধারিত করার সময় উপস্থিত হয়েছিল। উপরন্তু মুসলমানদের সংখ্যা দিনের পর দিন বিপুলভাবে বেড়ে যাচ্ছিল। তাঁরা দূরবর্তী পাড়াপল্লীসমূহে বসতি স্থাপন করছিল।
এজন্য নামাযের কথা ঘোষণা করার জন্য কোন পদ্ধতি নির্ধারণ করার প্রয়োজন দেখা দিল। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সর্বপ্রথমে এরই ব্যবস্থা করতে চাইলেন। অনেক সাহাবা বললেন,আগুন জ্বালিয়ে লোকদেরকে নামাযের কথা জানিয়ে দেয়া যেতে পারে। অনেকে ইহুদী ও খ্রিষ্টানদের ন্যায় ঢোল পিটিয়ে ও ঘণ্টা বাজিয়ে নামাযের কথা ঘোষণা করার জন্য মত প্রকাশ করলেন। হযরত ওমর (রাঃ) বললেন, এক ব্যক্তিকে নামাযের কথা ঘোষণা করার জন্য নিযুক্ত করা যেতে পারে।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর এমত পছন্দ করলেন। তখনই তিনি হযরত বেলাল (রাঃ) কে আযান দেয়ার নির্দেশ প্রদান করলেন। এভাবে হযরত ওমর (রাঃ) এর মতানুযায়ী ইসলামের একটি প্রধান ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠিত হল। এর ফলে প্রতিদিন দিবারাত্রে পাঁচ বার তাওহীদ ও রিসালাতের ঘোষণাবলি কিয়ামত পর্যন্ত সারা দুনিয়াকে প্রকষ্পিত করতে থাকবে।