হযরত ওমর (রাঃ) এর যুদ্ধ পদ্ধতি
প্রাক ইসলামী যুগে আরবে জাঁকজমকপূর্ণভাবে লড়াই হত। পদ্ধতি ছিল এই যে, প্রথমে দু’পক্ষ থেকে একজন করে বীর বের হয়ে তাঁর বীরত্বের নৈপুন্য প্রদর্শন করতো। অতঃপর সৈন্যরা বিশৃংখলভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত হত। পলায়ন করতো, আবার ফিরে আসত।
আবার পলাত আবার ফিরে আসত। ইসলামী কাতার পদ্ধতি পছন্দ করেছে। আল্লাহ্ তাঁদের প্রিয় জানেন যারা তাঁর রাহে সীমাপ্রাচীরের ন্যায় কাতর বন্দী হয়ে লড়াই করে। মুহাম্মদ (সাঃ) এর সময় থেকেই কাতারবন্দী হওয়ার নিয়ম শুরু হয়েছে এবং হযরত ওমর (রাঃ) এর সময়ে হযরত খালেদ ইবনে ওয়ালীদ (রাঃ)- এর পরামর্শে তা বিয়া নামের সুন্দরতম পদ্ধতি চালু হয়।
ইয়ারমুক ও কাদেসিয়্যা ময়দানে এ পদ্ধতিতেই যুদ্ধ হয়। তা’বিয়া পদ্ধতি অনুসারে সৈন্যদের নিম্নরুপ অংশসমূহে বিভক্ত করা হত।
(১) তালীআ ভ্রাম্যমান
(২) মুকাদ্দামা (অগ্রগামী)
(৩) কবল (কেন্দ্রীয় অংশ) এখানেই সিপাহসালার থাকতেন
(৪) মায়মানা (কবলের ডান দিকের অংশ)
(৫) মায়সালা (বামদিকের অংশ)
(৬) সাকা (পশ্চাদ অংশ)
(৭) রিদ (সাকার পিছনের সহায়ক অংশ)
(৮) রায়েদ (সৈন্যদের জন্য ঘাসপানি অন্বেষণকারী দল)
(৯) মুজাররাদ (অনিয়মিত সৈন্য)
(১০) রুকবান (উষ্ট্রারোহী)
(১১) ফুরসান (অশ্বরোহী)
(১২) রাজেল (পদাতিক)
(১৩) রুমাত (তীরন্দাজ)।