হযরত ওমর (রাঃ) এর পারস্য বিজয়

আরবের পূর্বদিকে পারস্য সাম্রাজ্য অবস্থিত। ইরাক, মেসোপটেমিয়া ও অক্সাস নদী পর্যন্ত পারস্য বিস্তৃত (বর্তমান নাম ইরান)। হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর আমলে ইরাক ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে ইসলামের অভিযান প্রেরণ করা হয়েছিল। যখন মুসলমানেরা জিহাদ নিয়ে ব্যস্ত ঠিক ঐ মুহুর্তে হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) ইন্তেকাল করলেন। 

তখন দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) ঐ সব অভিযানের পরিসমাপ্তি করার জন্য খুব তৎপর হয়ে উঠেন।  মুসলমানদের সঙ্গে এ সময়ে বিভিন্ন কারণহেতু পারসিকদেরও বিরোধিতা দেখা দেয়। মুসলমানদের সমৃদ্ধি ও উন্নতি পারসিকবাসীরা সহ্য করতে পারত না তাই পারস্যবাসী ইসলামকে একেবারে শেষ করার জন্য চেষ্টা করেছিল।  খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ) এর সময়ে যখন বাহরাইনে বিদ্রোহ আরম্ভ হয়, ঐ মুহুর্তে পারস্যবাসী বিদ্রোহদের সঙ্গে সহযোগিতা করাতে পারস্যের সঙ্গে বিরোধিতা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। পারস্য শক্তি ইসলামী সাম্রাজ্যের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠল তখন তাঁদের বিরুদ্ধে ইসলামী সাম্রাজ্য সতর্কতা অবলম্বন বদ্ধপরিকর। 

আরবের স্বাভাবিক অংশ ছিল পারস্য সাম্রাজ্যের প্রদেশ ইরাক। এ জন্যই এটা আরবের অস্তিত্বের জন্য খুবই প্রয়োজন বলে মনে করা হয়। যে সব গোত্র ইরাক ও কালদিয়া সীমান্তে বাস করত তাঁরা ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্ররোচনা উৎসাহিত করত। অতঃপর ইসলামের নিরাপত্তা এবং মুসলমানদের আত্নরক্ষার জন্য মুসলমানগণকে বাধ্য হয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যাবহার করতে হয়েছে। দজলা ফোরাত বিধৌত ইরাক অফুরন্ত সম্পদকে ভরপুর ছিল। 

আরবের ব্যাবসা-বানিজ্যের নির্ভর ছিল ইরাকের উপর। এদিকে  পারসিকগণ ইসলাম  সমৃদ্ধি লাভ করাতে আরব ব্যবসায়িকগণের সরাসরিভাবে ব্যাবসা-বাণিজ্য করার জন্য সম্মত ছিল না। এ অর্থনৈতিক সমস্যার জন্য মুসলিম বাহিনীর সাথে পারস্যবাসীর যুদ্ধের সুত্রপাত হয়। 

You may also like...

দুঃখিত, কপি করবেন না।