হযরত ওমর (রাঃ) এর জীবন-যাপন প্রণালী
হযরত ওমর (রাঃ) জীবন-যাত্রার প্রণালী অতি সাধারণ ছিল। তিনি খলিফা হওয়ার পূর্বে সওদাগরী করতেন। হযরত ওমর (রাঃ) খলিফা হওয়ার পরে তিনি বায়তুলমাল হতে খুব সামান্য পরিমাণ ভাতা গ্রহণ করতেন। এতে খুব সধারণ ভাবে তাঁর জীবনযাত্রা চলত। লিন্তু সাহাবাগণ স্থির করলেন কিছু অধিক পরিমাণে অর্থ যদি গ্রহন করতে সম্মত হন তবে তাঁর সংসারে সচ্ছলতা আসতে পারে।
কিন্তু খলিফার কাছে এ প্রস্তাব নিয়ে যেতে কেউ সাহস পেলেন না। তাঁরা স্থির করলেন, হযরত হাবসা খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর অতি আদরিণী কন্যা। তাঁর কাছে কথাটা বললে হয়তো বা কাজ হতে পারে। খলিফা হয়তো কিছু বেশি পরিমাণে ভাতা গ্রহন করতে সম্মত হতেও পারেন।
তাই তাঁর সবাই মিলে তাঁর কন্যা হযরত হাবসাকে জানালেন। সময় সুযোগ করে হাবসা পিতার নিকট কথাটা বললেন, তিনি বললেন, আব্বা আপনি আরব সাম্রাজ্যের বাদশা। কিন্তু বাদশাহর মত আমাদের তেমন কিছুই নেই।
না বাড়ি-ঘর না, পোশাক-পরিচ্ছেদ, না চাকর-বাকর, না অন্য কিছু। খুব দুঃখ-কষ্টের মধ্যে দিয়েই আমাদেরকে দিন কাটাতে হয়। আপনি ইচ্ছে করলেই ভাতা কিছুটা বাড়াতে পারেন। তাহলে সংসারে কিছুটা সচ্ছলতা আসবে। আমাদের জীবনটা কিছু দিন শান্তিতে কাটাতে পারব। হযরত ওমর (রাঃ) কন্যা কথা শুনে কিছুক্ষণ নীরব থেকে ধীরে ধীরে জবাব দিলেন। এ কথা নিশ্চয় তোমার নিজের মন হতে নয়।
কেউ হয়ত পরামর্শ দিয়ে থাকবে। কিন্তু মা, আমাদের তেমন কোন অভাব তো নেই। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সবচেয়ে ভাল জামা-কাপড়, আসবাবপত্র, খাদ্যদ্রব্য, চলাফেরা সব কিছুই তো সাধারণভাবে করেছেন। আমি তাঁর চেয়ে অধিক বিলাসী হতে পারব না।