হযরত ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রঃ) – শেষ পর্ব
হযরত ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রঃ) – পর্ব ৪ পড়তে এখানে ক্লিক করুন
কথিত আছে, তাঁর মরাদেহ কবরস্থানে নিয়ে যাবার সময় অনেক পাখী তাঁর ওপর উড়েছিল আর ছটফট করছিল। এ দৃশ্য দেখে প্রায় দু’হাজার ইহুদী, খ্রিষ্টান ও অগ্নিপূজক ইসলাম গ্রহণ করেন।
মুহাম্মাদ ইবনে খুযাইমা (রঃ) বলেন, মৃত্যুর পর তিনি ইমাম সাহেবকে স্বপ্নে দেখেন। তিনি ধীরপায়ে চলেছেন। কোথা যাচ্ছেন জিজ্ঞেস করলে বললেন, দারুস সালাম (একটি জান্নাতের নাম) আল্লাহ আপনার সঙ্গে কেমন আচরণ করলেন? এ প্রশ্নের জবাবে বললেন, তিনি আমাকে মাফ করেছেন। মাথায় পরিয়ে দিয়েছেন মর্যাদার তাজ, আর পরিয়েছেন সম্মানের জুতা। আর বলেছেন, কোরআন পাককে সৃষ্ট বস্তু বলে স্বীকার না করার ফলেই তোমার মর্যাদা এভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তারপর আল্লাহ আমাকে আদেশ করলেন, সুফিয়ান সাওরীর নিকট যে দোয়াটি শিখেছ, তা পাঠ কর। আমি পাঠ করলাম- সব কিছুই আপনার কুদরতের মুষ্টিবদ্ধ। সব কিছুর উপরেই আপনি শক্তিশালী। আমি কী চাই তা জিজ্ঞেস করবেন না। আপনার যা ইচ্ছা আপনি তাই দান করুন। অতঃপর তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী আমি জান্নাতে প্রবেশ করলাম।
এক তাপসকে জিজ্ঞেস করা হয়, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ)- এর কাশফ শক্তি জীবিতকালে বেশী ছিল, না ইন্তেকালের পর? তিনি বলেন, ইমাম সাহেবের দুটি দোয়া আল্লাহর দরবারে কবুল হয়। দোয়া দুটি ছিল। হে দয়াময়! যাদের ঈমান দেননি, তাদের ঈমান দান করুন। আর যাদের ঈমান দিয়েছেন তাদের ঈমান যেন বহাল থাকে।
হযরত ইমাম আহমদ (রঃ)-এর জন্ম বাগদাদে, ১৯৬৪ হিজরিতে আর বাগদাদেই পরলোকগমন করেন ২৪১ হিজরিতে। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল সাতাত্তর বছর। হাদিস শাস্ত্র শিক্ষার জন্য তিনি কুফা, বসরা, মক্কা, মদীনা, ইয়ামেন, সিরিয়া প্রভৃতি দেশ ভ্রমণ করেন।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রঃ) – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন