হযরত আলী (রাঃ) চক্ষুপীড়া আরোগ্য

একবার হযরত আলী (রাঃ) এর চোখে পীড়া দেখা দিলে রাসূল (সাঃ) তার চোখে স্বীয় মুখের পবিত্র লালা লাগিয়া দিলে তিনি আরোগ্য লাভ করেন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশঃ খায়বার যুদ্ধের সময় রাসূল (সাঃ) অসুস্থ ছিলেন, ফলে তিনি ঐ যুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি।

সুতরাং হযরত আবু ছিদ্দিকের হাতে পতাকা দিয়ে তাকে ময়দানে প্রেরণ করলেন। তিনি প্রাণপনে লড়ার পর ও প্রতি পক্ষের দুর্গ মুসলমানদের দখলে আসল না। পরদিন হযরত ওমর (রাঃ) এর হাতে পতাকা দেয়া হল। তিনি ও বীর দর্পে লড়াই করলেন। কিন্তু আর মুসলমানদের বিজয় সূচিত হল না।

এ পরিস্থিতিতে রাসূল (সাঃ) বললেন, আগামীকাল আমি এমন এক ব্যক্তির হাতে যুদ্ধের পতাকা তুলে দেব, যাকে আল্লাহ এবং রাসূল ভালোবাসে এবং সেই ব্যক্তিও আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) কে ভালোবাসে। আর ঐ ব্যক্তির হাতেই দূর্গ জয় হবে।

তৃতীয় দিন কৌতূহলী জনতা সৌভাগ্যবান ব্যক্তিটিকে দেখার জন্য ভীড় জমাল। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সকল কে জিজ্ঞেস করলেন, আলী কোথায়? হযরত আলী (রাঃ) চোখের পীড়ায় আক্রান্ত ছিলেন, লোকেরা তাকে ডেকে আনলেন। তার চোখ ছিল পট্টি বাঁধা।

রাসূলে পাক (সাঃ) তাকে কাছে ডেকে তার চোখে স্বীয় মুখের পবিত্র লালা লাগিয়ে দিলেন। সাথে সাথে তার চোখের বেদনাসহ যাবতীয় উপসর্গ দূর হয়ে গেল। অতঃপর হযরত আলী (রাঃ) ঝাণ্ডা গ্রহণ করলেন এবং বীর দর্পে লড়াই করে দুর্গ জয় করলেন।

আরো পড়তে পারেন...

কয়েকটি বিশেষ ধরনের বেদআত

হযরত মাওলানা মুহেব্বুদ্দিন ছিলেন হাজী এমদাদুল্লাহ মক্কী (রহঃ)-এর খলীফা। তিনি কাশফওয়ালা বুযুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। একদিন…

মানুষ বেশে জিব্রাইল

হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমরা রাসূল করীম (সাঃ) এর দরবারে বসা ছিলাম। হঠাৎ…

মুসলিম পরিচয় প্রদানকারী কয়েকজন দুবৃত্ত সম্পর্কে আগাম সতর্কবাণী

হযরত আবু ছাইদ খদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সম্মুখে উপস্থিত ছিলাম। রাসূলুল্লাহ…

হযরত আলী (রাঃ) চক্ষুপীড়া আরোগ্য

একবার হযরত আলী (রাঃ) এর চোখে পীড়া দেখা দিলে রাসূল (সাঃ) তার চোখে স্বীয় মুখের পবিত্র লালা লাগিয়া দিলে তিনি আরোগ্য লাভ করেন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশঃ খায়বার যুদ্ধের সময় রাসূল (সাঃ) অসুস্থ ছিলেন, ফলে তিনি ঐ যুদ্ধে অংশ নিতে পারেননি।

সুতরাং হযরত আবু ছিদ্দিকের হাতে পতাকা দিয়ে তাকে ময়দানে প্রেরণ করলেন। তিনি প্রাণপনে লড়ার পর ও প্রতি পক্ষের দুর্গ মুসলমানদের দখলে আসল না। পরদিন হযরত ওমর (রাঃ) এর হাতে পতাকা দেয়া হল। তিনি ও বীর দর্পে লড়াই করলেন। কিন্তু আর মুসলমানদের বিজয় সূচিত হল না।

এ পরিস্থিতিতে রাসূল (সাঃ) বললেন, আগামীকাল আমি এমন এক ব্যক্তির হাতে যুদ্ধের পতাকা তুলে দেব, যাকে আল্লাহ এবং রাসূল ভালোবাসে এবং সেই ব্যক্তিও আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) কে ভালোবাসে। আর ঐ ব্যক্তির হাতেই দূর্গ জয় হবে।

তৃতীয় দিন কৌতূহলী জনতা সৌভাগ্যবান ব্যক্তিটিকে দেখার জন্য ভীড় জমাল। আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সকল কে জিজ্ঞেস করলেন, আলী কোথায়? হযরত আলী (রাঃ) চোখের পীড়ায় আক্রান্ত ছিলেন, লোকেরা তাকে ডেকে আনলেন। তার চোখ ছিল পট্টি বাঁধা।

রাসূলে পাক (সাঃ) তাকে কাছে ডেকে তার চোখে স্বীয় মুখের পবিত্র লালা লাগিয়ে দিলেন। সাথে সাথে তার চোখের বেদনাসহ যাবতীয় উপসর্গ দূর হয়ে গেল। অতঃপর হযরত আলী (রাঃ) ঝাণ্ডা গ্রহণ করলেন এবং বীর দর্পে লড়াই করে দুর্গ জয় করলেন।