হযরত আলী ও হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করা

হযরত ফাতেমা (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূল (সাঃ) তাঁহার ঘরে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার নাতিরা (অর্থাৎ হযরত হাসান ও হুসাইন (রাঃ)) কোথায়? হযরত ফাতেমা (রাঃ) বলিলেন, সকাল হইতে আমাদের ঘরে মুখে দেওয়ার মত কিছুই ছিল না। হযরত আলী (রাঃ) বলিলেন, আমি উভয়কে আমার সঙ্গে লইয়া যাই।

অন্যথা আমার আশঙ্কা হয় (ক্ষুধার দরুন) তাহারা তোমার নিকট কান্নাকাটি করিবে, অথচ তোমার কাছে কিছুই নাই। তিনি কাজের উদ্দেশ্যে অমুক ইহুদীর নিকট গিয়াছেন। নবী কারীম (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইলেন। সেখানে পৌঁছিয়া দেখিলেন, হযরত হাসান ও হুসাইন (রাঃ) একটি হাউজের নিকট খেলিতেছেন এবং তাহাদের সম্মুখে কিছু খেজুর রহিয়াছে।

তিনি বলিলেন, হে আলী, রৌদ্র প্রখর হওয়ার পূর্বে কি আমার নাতিদেরকে ঘরে ফিরাইয়া নিবে না? হযরত আলী (রাঃ) বলিলেন, আজ সকাল হইতে আমাদের ঘরে কিছুই ছিল না। ইয়া রাসূলাল্লাহ! একটু অপেক্ষা করুন, ফাতেমার জন্যও কিছু খেজুর সংগ্রহ করিয়া লই।

সুতরাং রাসূল (সাঃ) বসিয়া রহিলেন, ততক্ষণে ফাতেমার জন্যও কিছু খেজুর সংগ্রহ হইয়া গেল। হযরত আলী (রাঃ) খেজুরগুলি একটি কাপড়ে বাঁধিয়া লইয়া রাসূল (সাঃ)-এর নিকট আসিলেন, অতঃপর ছেলেদের একজনকে নবী কারীম (সাঃ) ও অপরজনকে হযরত আলী (রাঃ) উঠাইয়া লইয়া ঘরে ফিরিয়া আসিলেন। (তারগীব)

হযরত আতা (রাঃ) বলেন, আমি জানিতে পারিয়াছি যে, হযরত আলী (রাঃ) বলিয়াছেন, আমাদের উপর কয়েক দিন এমন কাটিয়াছে যে, আমাদের কাছেও আহার করার মত কোন কিছু ছিল না, রাসূল (সাঃ)-এর কাছেও ছিল না। আমি ঘর হইতে বাহির হইয়া দেখিলাম, রাস্তায় একটি দীনার পড়িয়া আছে। কিছুক্ষণ চিন্তা করিলাম, দীনারটি লইব কি লইব না।

তারপর কয়েকদিনের অনাহারের কষ্টের কথা ভাবিয়া উঠাইয়া লইলাম এবং এক দোকানে যাইয়া আটা খরিদ করিলাম। অতঃপর ফাতেমা (রাঃ) কে দিয়া বলিলাম, আটা মথিয়া রুটি বানাও। তিনি আটা মথিতে বসিলেন।

অনাহারের কষ্ট অত্যাধিক দুর্বলতার দরুন তাহার কপালের চুল বারংবার আটার গামলার সহিত লাগিতেছিল। রুটি প্রস্তুত হইবার পর আমি নবী কারীম (সাঃ)এর নিকট আসিলাম এবং তাঁহার নিকট ঘটনা ব্যক্ত করিলাম। তিনি বলিলেন, তোমরা উহা খাও। কারণ ইহা এমন রিজিক যাহা আল্লাহ তায়ালা তোমাদিগকে আপন গায়েবী খাযনা হইতে দান করিয়াছেন। (কানয)

মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব কুরাযী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী (রাঃ) বলিয়াছেন, আমি রাসূল (সাঃ)-এর সহিত নিজের অবস্থা এমনও দেখিয়াছে যে, ক্ষুধার দরুন পেটের উপর পাথর বাঁধিয়া

রাখিয়াছিলাম। আর আজ আমার অবস্থা এই যে, আমার মালের যাকাত চল্লিশ হাজার দীনার পর্যন্ত পৌঁছিয়া গিয়াছে। অপর রেওয়াতে আছে আজ আমার যাকাত চল্লিশ হাজার হইয়াছে।

হযরত উম্মে সুলাইম (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) তাহাকে ক্ষুধার কষ্টে অস্থির হইতে দেখিয়া বলিলেন, ধৈর্য ধারণ কর, আল্লাহর কসম, আজ সাত দিন যাবত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর ঘরের লোকদের নিকট কিছুই নাই। তিন দিন যাবত তাহাদের হাঁড়ির নিচে আগুন জ্বলে নাই। আল্লাহর

কসম, আমি যদি আল্লাহ তায়ালার নিকট তেহামার সমস্ত স্বর্ণ বানাইয়া দিবার দোয়া করি তবে তিনি তাহা করিয়া দিবেন।

হযরত আলী ও হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর ক্ষুধার কষ্ট সহ্য করা

হযরত ফাতেমা (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূল (সাঃ) তাঁহার ঘরে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার নাতিরা (অর্থাৎ হযরত হাসান ও হুসাইন (রাঃ)) কোথায়? হযরত ফাতেমা (রাঃ) বলিলেন, সকাল হইতে আমাদের ঘরে মুখে দেওয়ার মত কিছুই ছিল না। হযরত আলী (রাঃ) বলিলেন, আমি উভয়কে আমার সঙ্গে লইয়া যাই।

অন্যথা আমার আশঙ্কা হয় (ক্ষুধার দরুন) তাহারা তোমার নিকট কান্নাকাটি করিবে, অথচ তোমার কাছে কিছুই নাই। তিনি কাজের উদ্দেশ্যে অমুক ইহুদীর নিকট গিয়াছেন। নবী কারীম (সাঃ) হযরত আলী (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইলেন। সেখানে পৌঁছিয়া দেখিলেন, হযরত হাসান ও হুসাইন (রাঃ) একটি হাউজের নিকট খেলিতেছেন এবং তাহাদের সম্মুখে কিছু খেজুর রহিয়াছে।

তিনি বলিলেন, হে আলী, রৌদ্র প্রখর হওয়ার পূর্বে কি আমার নাতিদেরকে ঘরে ফিরাইয়া নিবে না? হযরত আলী (রাঃ) বলিলেন, আজ সকাল হইতে আমাদের ঘরে কিছুই ছিল না। ইয়া রাসূলাল্লাহ! একটু অপেক্ষা করুন, ফাতেমার জন্যও কিছু খেজুর সংগ্রহ করিয়া লই।

সুতরাং রাসূল (সাঃ) বসিয়া রহিলেন, ততক্ষণে ফাতেমার জন্যও কিছু খেজুর সংগ্রহ হইয়া গেল। হযরত আলী (রাঃ) খেজুরগুলি একটি কাপড়ে বাঁধিয়া লইয়া রাসূল (সাঃ)-এর নিকট আসিলেন, অতঃপর ছেলেদের একজনকে নবী কারীম (সাঃ) ও অপরজনকে হযরত আলী (রাঃ) উঠাইয়া লইয়া ঘরে ফিরিয়া আসিলেন। (তারগীব)

হযরত আতা (রাঃ) বলেন, আমি জানিতে পারিয়াছি যে, হযরত আলী (রাঃ) বলিয়াছেন, আমাদের উপর কয়েক দিন এমন কাটিয়াছে যে, আমাদের কাছেও আহার করার মত কোন কিছু ছিল না, রাসূল (সাঃ)-এর কাছেও ছিল না। আমি ঘর হইতে বাহির হইয়া দেখিলাম, রাস্তায় একটি দীনার পড়িয়া আছে। কিছুক্ষণ চিন্তা করিলাম, দীনারটি লইব কি লইব না।

তারপর কয়েকদিনের অনাহারের কষ্টের কথা ভাবিয়া উঠাইয়া লইলাম এবং এক দোকানে যাইয়া আটা খরিদ করিলাম। অতঃপর ফাতেমা (রাঃ) কে দিয়া বলিলাম, আটা মথিয়া রুটি বানাও। তিনি আটা মথিতে বসিলেন।

অনাহারের কষ্ট অত্যাধিক দুর্বলতার দরুন তাহার কপালের চুল বারংবার আটার গামলার সহিত লাগিতেছিল। রুটি প্রস্তুত হইবার পর আমি নবী কারীম (সাঃ)এর নিকট আসিলাম এবং তাঁহার নিকট ঘটনা ব্যক্ত করিলাম। তিনি বলিলেন, তোমরা উহা খাও। কারণ ইহা এমন রিজিক যাহা আল্লাহ তায়ালা তোমাদিগকে আপন গায়েবী খাযনা হইতে দান করিয়াছেন। (কানয)

মুহাম্মাদ ইবনে কা’ব কুরাযী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, হযরত আলী (রাঃ) বলিয়াছেন, আমি রাসূল (সাঃ)-এর সহিত নিজের অবস্থা এমনও দেখিয়াছে যে, ক্ষুধার দরুন পেটের উপর পাথর বাঁধিয়া

রাখিয়াছিলাম। আর আজ আমার অবস্থা এই যে, আমার মালের যাকাত চল্লিশ হাজার দীনার পর্যন্ত পৌঁছিয়া গিয়াছে। অপর রেওয়াতে আছে আজ আমার যাকাত চল্লিশ হাজার হইয়াছে।

হযরত উম্মে সুলাইম (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) তাহাকে ক্ষুধার কষ্টে অস্থির হইতে দেখিয়া বলিলেন, ধৈর্য ধারণ কর, আল্লাহর কসম, আজ সাত দিন যাবত মুহাম্মাদ (সাঃ)এর ঘরের লোকদের নিকট কিছুই নাই। তিন দিন যাবত তাহাদের হাঁড়ির নিচে আগুন জ্বলে নাই। আল্লাহর

কসম, আমি যদি আল্লাহ তায়ালার নিকট তেহামার সমস্ত স্বর্ণ বানাইয়া দিবার দোয়া করি তবে তিনি তাহা করিয়া দিবেন।

আরো পড়তে পারেন...

খৃষ্টান মহিলার প্রেমে পাগল হওয়ার ঘটনা

বুজুর্গ ব্যক্তি বললেন, একদা আমি হযরত হাসান বসরী (রহঃ) এর দরবারে বসেছিলাম। এমন সময় আমাদের…

এক বুজুর্গের কসমের উছিলায়

হযরত আবূ আব্দুল্লাহ কাররাশী (রাঃ) বলেন, একবার মুশরিক সৈন্যরা স্পেন শহরে প্রবেশ করে বিনা যুদ্ধে…

স্বপ্ন যোগে রাসূলের দিদার।

ইমাম কাফেলায় হাবীবের ঈমানী চেতনার প্রকাশ্য শক্তি যেন কয়েকগুণ বাড়াল। ইমাম হোসাইন (রাঃ) গভীর রাতে…