হযরত আলইয়াসা (আঃ)
হযরত ইলইয়াস (আঃ)-এর আলোচনায় উক্ত হয়েছে যে, হযরত ইলইয়াস (আঃ) বনী ইসরাইলী নবী হযরত ইলইয়াস (আঃ)-এর চাচাত ভাই। তাঁর বংশসূত্র হচ্ছে- আলইয়াসা তাঁর পিতা আবী তাঁর পিতা শোতাম তাঁর আযারঈন তাঁর পিতা ইউসুফ তাঁর পিতা ইয়াকুব তাঁর পিতা ইসহাক তাঁর পিতা ইবরাহীম।
প্রথম জীবনের অধিকাংশ দিনগুলো তিনি হযরত ইলইয়াস (আঃ)-এর সাহচর্যেই কাটান। হযরত ইলইয়াস (আঃ) নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি হতাশ হয়ে যখন তাদের থেকে বিচ্ছিন্নতা অবলম্বন করেন, তখন আলইয়াসা (আঃ)-কে তাঁর খলীফা নিযুক্ত করেন।
হযরত ইলইয়াস (আঃ)-এর পর আল্লাহ তায়ালা তাঁকে নবুয়ত প্রদান করেন। তিনি হযরত ইলইয়াস (আঃ)-এর পদাঙ্ক অনুসরণে আল্লাহ বিমুখ মানবগোষ্ঠীকে আল্লাহর পথে ডাকতে থাকেন। কিন্তু বিভ্রান্ত বনী ইসরাইলী সম্প্রদায় আলইয়াসা (আঃ)-কেও মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে শুরু করে এবং সত্য দ্বীন গ্রহণ না করে প্রতিমা উপসানায় নিমগ্ন থাকে।
নিরন্তর চেষ্টা সাধনা চালিয়েও কোন ফলোদয় হয়নি। দুর্ভাগাদের এক আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপনের সৌভাগ্য হয়নি। এ অবস্থায় কিছু দিন পর হযরত ইলইয়াস (আঃ) ইহত্যাগ ত্যাগ করেন।
তিনি কত বছর জীবিত ছিলেন এবং নবুয়ত লাভের পর কত বছর বনী ইসরাইলীকে আল্লাহর পথে আহবান জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে ইতিহাস এবং তাফসীর গ্রন্থাদিতেও কোন তথ্য উল্লেখ নেই। পবিত্র কোরআনে সূরা আনআমের ছিয়াছি নং আয়াত এবং সূরা সোয়াদের আটচল্লিশ নং আয়াতে তাঁর সংক্ষিপ্ত আলোচনা উপস্থাপিত হয়েছে।
বর্ণিত আছে, হযরত ইলইয়াস (আঃ)-এর ওফাতের সাতশ বছর পর্যন্ত বনী ইসরাইলের মাঝে কোন নবী পাঠান হয়নি। শুধু আলেম এবং জ্ঞানী গুণীরা মানুষদেরকে আল্লাহর প্রতি এবং সত্য দ্বীনের প্রতি আহবান জানাতেন কিন্তু ঐতিহ্যগত বক্র মানসিকতা ও হটকারীতার অধিকারী বনী ইসরাইলের মনোজগতে আলেম, জ্ঞানী গুণীদের উপদেশাবলীও কোন রেখাপাত করতে সমর্থ হয়নি। অবশেষে সাতশ বছর পর আল্লাহ তায়ালা হযরত হানযালা (আঃ)-কে নবুয়ত প্রদান করে বনী ইসরাইলের মাঝে পাঠান।