হযরত আবূজর (রাঃ) বিরাণ ভূমিতে ইহধাম ত্যাগ করবেন

হযরত আবূ জর (রাঃ) ইন্তেকালের সময় একটি জনমানবহীন বিরান ভূমিতে অবস্থান করছিলেন। তখন তাঁর স্ত্রীও তাঁর সাথে ছিলেন। স্বামীর ইন্তেকালের এ কঠিন মুহুর্তে তিনি একাকী কি করবেন, কোথা থেকে কে তাঁর কাফনের ব্যবস্থা হবে, কি উপায়ে তাঁর নামাযে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে- ইত্যাদী কঠিন দুর্ভাবনায় তিনি ক্রন্দল করতে লাগলেন।

হযরত আবূ জর (রাঃ) স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একটি জামাতকে লক্ষ্য করে একটি কথা বলেছিলেন। ঐ জামাতে আমিও উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলছিলেন, তোমাদের মধ্যে এক ব্যক্তি এমন এক স্থানে মৃত্যুবরণ করবে যেখানে কোন জনবসতি থাকবে না। তাঁর জানাজায় মুসলমানদের একটি জামাত এসে উপস্থিত হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যার উদ্দেশ্যে এ উক্তি করেছিলেন।

আমিই সেই উদ্দিষ্ট ব্যক্তি। অতএব, হে উম্মে জর! তুমি পথের উপর অপেক্ষা করতে থাক। উম্মে জর বলেন, অতঃপর আমি রাস্তায় গেলাম এবং দূরে মুসাফিরের একটি দলকে এদিকে আসতে দেখলাম। তাঁরা নিকটে আসলে আমি হযরত আবূ জর (রাঃ) এর বিস্তারিত অবস্থা তাদেরকে অবহিত করলাম। বিবরণ শুনে তাঁরা হযরত আবূ জর (রাঃ) এর নিকট এলেন।

হজরত আবু জর (রাঃ) তাদের কে বললেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি আমার কাফনের ব্যবস্থা করবে, যে ব্যক্তি নিজে আমীর বা সরকারী লোক নয়, এ কথা শুনে এক যুবল এগিয়ে এসে বলল, হে চাচা! আমি আমার ইজারবন্দ এবং দ’টি কাপড় আপনার কাফনের জন্য দিচ্ছি যা আমার মায়ের হস্তে তৈরী সুতার কপড়। হজরত আবু জর (রাঃ) ঐ কাফন কবূল করলেন, এভাবেই হযরত আবূ জর (রাঃ) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণীটী পূর্ণ হয়। (বায়হাকী)

আরো পড়তে পারেন...

কয়েকটি বিশেষ ধরনের বেদআত

হযরত মাওলানা মুহেব্বুদ্দিন ছিলেন হাজী এমদাদুল্লাহ মক্কী (রহঃ)-এর খলীফা। তিনি কাশফওয়ালা বুযুর্গ ব্যক্তি ছিলেন। একদিন…

মানুষ বেশে জিব্রাইল

হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমরা রাসূল করীম (সাঃ) এর দরবারে বসা ছিলাম। হঠাৎ…

মুসলিম পরিচয় প্রদানকারী কয়েকজন দুবৃত্ত সম্পর্কে আগাম সতর্কবাণী

হযরত আবু ছাইদ খদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সম্মুখে উপস্থিত ছিলাম। রাসূলুল্লাহ…

হযরত আবূজর (রাঃ) বিরাণ ভূমিতে ইহধাম ত্যাগ করবেন

হযরত আবূ জর (রাঃ) ইন্তেকালের সময় একটি জনমানবহীন বিরান ভূমিতে অবস্থান করছিলেন। তখন তাঁর স্ত্রীও তাঁর সাথে ছিলেন। স্বামীর ইন্তেকালের এ কঠিন মুহুর্তে তিনি একাকী কি করবেন, কোথা থেকে কে তাঁর কাফনের ব্যবস্থা হবে, কি উপায়ে তাঁর নামাযে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে- ইত্যাদী কঠিন দুর্ভাবনায় তিনি ক্রন্দল করতে লাগলেন।

হযরত আবূ জর (রাঃ) স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একটি জামাতকে লক্ষ্য করে একটি কথা বলেছিলেন। ঐ জামাতে আমিও উপস্থিত ছিলাম। তিনি বলছিলেন, তোমাদের মধ্যে এক ব্যক্তি এমন এক স্থানে মৃত্যুবরণ করবে যেখানে কোন জনবসতি থাকবে না। তাঁর জানাজায় মুসলমানদের একটি জামাত এসে উপস্থিত হবে। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যার উদ্দেশ্যে এ উক্তি করেছিলেন।

আমিই সেই উদ্দিষ্ট ব্যক্তি। অতএব, হে উম্মে জর! তুমি পথের উপর অপেক্ষা করতে থাক। উম্মে জর বলেন, অতঃপর আমি রাস্তায় গেলাম এবং দূরে মুসাফিরের একটি দলকে এদিকে আসতে দেখলাম। তাঁরা নিকটে আসলে আমি হযরত আবূ জর (রাঃ) এর বিস্তারিত অবস্থা তাদেরকে অবহিত করলাম। বিবরণ শুনে তাঁরা হযরত আবূ জর (রাঃ) এর নিকট এলেন।

হজরত আবু জর (রাঃ) তাদের কে বললেন, তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি আমার কাফনের ব্যবস্থা করবে, যে ব্যক্তি নিজে আমীর বা সরকারী লোক নয়, এ কথা শুনে এক যুবল এগিয়ে এসে বলল, হে চাচা! আমি আমার ইজারবন্দ এবং দ’টি কাপড় আপনার কাফনের জন্য দিচ্ছি যা আমার মায়ের হস্তে তৈরী সুতার কপড়। হজরত আবু জর (রাঃ) ঐ কাফন কবূল করলেন, এভাবেই হযরত আবূ জর (রাঃ) সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণীটী পূর্ণ হয়। (বায়হাকী)