হযরত আবু বকর (রাঃ ) এর হিজরতের উদ্দেশ্যে হাবশার দিকে রওয়ানা – শেষ পর্ব
হযরত আবু বকর (রাঃ ) এর হিজরতের উদ্দেশ্যে হাবশার দিকে রওয়ানা – দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ইবনে ইসহাক (রহঃ) হইতে অপর এক রেওয়াতে বর্ণিত আছে যে, হযরত আবু বকর (রাঃ) ইবনে দাগিনার আশ্রয় পরিত্যাগ করিয়া কা’বা শরীফের দিকে যাইতেছিলেন। পথে কোরাইশের এক কমজাতের সহিত দেখা হইলে সে তাহার মাথায় ধুলা দিল। ওলীদ ইবনে মুগীরা অথবা আস ইবনে ওয়ায়েল হযরত আবু বকর (রাঃ)এর নিকট দিয়া যাইতেছিল। তিনি তাহাকে বলিলেন, তুমি কি দেখিতেছ না, এই কমজাত কি করিতেছে? সে উত্তরে বলিল, তুমি নিজেই নিজের সহিত এরূপ ব্যবহার করিয়াছ। একথা শুনিয়া হযরত আবু বকর (রাঃ) বলিতে লাগিলেন, হে আমার রব, আপনি কতই না ধৈর্যশীল। (বিদায়াহ)
পূর্বে হযরত আসমা (রাঃ)এর হাদিস বর্ণিত হইয়াছে যে, হযরত আবু বকর (রাঃ) আর্তচিৎকার শুনিতে পাইলেন। লোকেরা বলিল, তোমার সঙ্গীকে বাঁচাও। তিনি আমাদের নিকট হইতে বাহির হইয়া গেলেন। তাহার মাথায় চারটি চুলের ঝুটি ছিল। তিনি বলিতে লাগিলেন, তোমাদের নাশ হউক! তোমরা একজন মানুষকে এইজন্য হত্যা করিতে চাহিতেছ যে, তিনি বলেন, আল্লাহই আমার পরওয়ারদিগার। অথচ তিনি তোমাদের রবের পক্ষ হইতে তোমাদের নিকট এই বিষয়ে নিদর্শনাবলী লইয়া আসিয়াছেন? তাহারা রাসূল (সাঃ)কে ছাড়িয়া হযরত আবু বকর (রাঃ)এর উপর ঝাঁপাইয়া পড়িল। হযরত আসমা (রাঃ) বলেন, হযরত আবু বকর (রাঃ) যখন আমাদের নিকট ফিরিয়া আসিলেন তখন মুশরিকদের প্রহরের দরুন তাঁহার অবস্থা এরূপ ছিল যে, চুলের যে কোন ঝুঁটিতে হাত দিতেই তাহা উঠিয়া আসিল। তিনি শুধু ইহাই বলিতেছিলেন- تباركت ياذا الجلال والاكرام
অর্থাৎ কতই না বরকতময় আপনি হে মহিমাময় ও মহানুভব।
সূত্রঃ হায়াতুস সাহাবা
হযরত আবু বকর (রাঃ ) এর হিজরতের উদ্দেশ্যে হাবশার দিকে রওয়ানা – ১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন