হযরত আবু বকর (রাঃ) এর অমূল্য বাণী –শেষ পর্ব
যুদ্ধের ময়দানে কাফিরদের সঙ্গে জিহাদ করা জিহাদে আসগর’ অথবা খুব ছোট জিহাদ, আর তোমার নিজের নফসের সাথে যুদ্ধ করা সবচেয়ে বড় জিহাদ বা জিহাদে আকবর।
যে লোক পরকালের জন্য এ দুনিয়াকে একেবারে ছেড়ে দেয়, সে লোক উত্তম নয়। বরং উত্তম সে লোক যে লোক দুনিয়া এবং আখিরাত উভয়টির হক্ব রক্ষা করে চলে।
যে কোন কর্ম করার আগে পৃথিবী এবং আখিরাত এ দু জগতের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই তা করবে। শতকরা আড়াই টাকা তো কৃপণ এবং দুনিয়াদারদের জন্য যাকাত। আর সিদ্দীকগণের যাকাত হল তাঁর সম্পূর্ণ ধন-সম্পদ আল্লাহ তায়ালার রাস্তায় বিলিয়ে দেয়া।
যারা সাময়িক স্বার্থের লোভে পড়ে পরকালকে ভুলে যায়, কোনদিনও তাঁরা ভাল হতে পারে না। প্রকৃত ভাল বলা যায় তাদেরকেই যারা দুনিয়া এবং আখিরাত উভয় জীবনে স্বার্থের চিন্তা করে কর্ম করে। আল্লাহ্ ভীরু তাই সত্যিকারের মর্যাদা লাভের কারণ। মহান আল্লাহ্ তায়ালার উপর ভরসা রেখেই ধন-সম্পদ লাভ করা যায়। আর নম্র এবং বিনয় মানুষকে নেতৃত্বের আসনে উপবিষ্ট করে।
স্মরণ রাখবে, যে লোক মহান আল্লাহ্ তায়ালার কর্মে লিপ্ত থাকে। সে লোকের কর্মে স্বয়ং আল্লাহ্ লিপ্ত হয়ে যান। আমল ব্যতীত আলেমের পথ চলা হলো এ ধরনের, যেরুপ দৃষ্টিশক্তি বিহীন কোন লোক খুব অন্ধকারে রাতে হাতের বাতি নিয়ে পথ চলে।
আসল বদান্যতা হল মহান আল্লাহ্ তায়ালার সৃষ্টি কষ্ট হতে বাঁচাবার জন্য নিজে কষ্ট সহ্য করে যাওয়া। সেবা এবং আল্লাহ্ তায়ালার আদেশ-নিষেধকে ভবিষ্যৎ দিনের জন্য বন্ধ করে রেখ না। খারাপ লোকের সাথে চলার চেয়ে নিজে একা একা চলাই সর্বত্তোম। আর ভাল লোকের সঙ্গে চলা একা একা চলার চেয়ে উত্তম।
যারা বড় লোকদের পেছনে ঘুরে সেসব আলেম মহান আল্লাহ্ তায়ালার সবচেয়ে বড় শত্রু। আর সে সব বড়লোক আল্লাহ্ তায়ালার করুনার ভাজন, যারা আলিমগণের সহচর্যে গমন করে। ইলম ছাড়া আমলকে ব্যাধি জ্ঞান করে আর আমলহীন ইলমকে নিরর্থক মনে করে।
ধৈর্যের মধ্যে কোন বিপদ নেই। আর খালি খালি অস্থিরতা ও কান্নার মধ্যে কোন উপকার নেই। ঐ লোক হতভাগা লোক যে লোক মরে যায় অথচ তাঁর পাপগুলো জীবিত থাকে। অর্থাৎ সে লোক এমন কোন অন্যায় কাজ করে যায়, যা মৃত্যুর পরেও পাপ অব্যহত থাকে।
হযরত আবু বকর (রাঃ) এর অমূল্য বাণী – পর্ব ১ পড়তে এখানে ক্লিক করুন