হযরত আবু ইসহাক ইব্রাহীম শায়বানী (রঃ) – শেষ পর্ব
তাঁর কিছু অমূল্যবাণীর সারসংক্ষেপঃ
১. একদিন স্নানের সময় এক সুদর্শন তরুণ আমাকে বলে, এভাবে আর কতদিন শরীরের অপবিত্রতা পরিষ্কার করবেন? এখন মনের পবিত্রতার দিকে মন দিয়ে আল্লাহ ছাড়া অন্তরে যা কিছু আছে তা ধুয়ে সাফ করে ফেলুন। আমি তাকে শুধালাম তুমি মানুষ, না জ্বিন, না ফেরেশতা? তোমার মতো চেহারার লোক তো আমি দেখিনি। সে জবাব দিল, আমি মানুষ, জ্বিন, ফেরেশতা কিছুই নই। আমি বিসমিল্লাহ কালাম শরীফের ছায়া মাত্র।
২. মুক্তি লাভেচ্ছু ব্যক্তির উচিৎ বিশুদ্ধ চিত্তে আল্লাহর এবাদত করা।
৩. যে ব্যক্তি মুখে পবিত্রতার কথা বলে, কিন্তু অন্তরের শুচিতা রক্ষা করতে পারে না বলেই আল্লাহ্ তাকে বিপদে ফেলেন।
৪. স্থিতি ও লয়ের জ্ঞান শুধু তওহীদের নির্মলতা ও এবাদতের ওপর নির্ভরশীল।
৫. আপন অস্তিত্ব থেকে উদ্ধার পেতে হলে বিশুদ্ধ এবাদতের প্রয়োজন। কেননা অবিচল এবাদত আল্লাহ্ ছাড়া অন্য যেকোন বস্তু থেকেই মানুষকে মুক্তি দেয়।
৬. আল্লাহর বন্ধুদের থেকে দূরে থাকার প্রবণতা মানুষের অপমান অপদস্থতার কারণ হয়ে দেখা দেয়।
৭. মন্দ কথা থেকে দূরে থাকার জন্য শরীয়তের বিধি-বিধান পালন করতে হয়।
৮. যে আল্লাহকে ভয় করে না, কেবল মানুষের উপকারের কথা বলে বেড়ায়, সে দুরাচারী।
৯. বিনয় ও নম্রতা বিদ্যা লাভের জমিনস্বরূপ।
১০. যার মনে আল্লাহ্ভীতি থাকে, তার অন্তরে দুনিয়ার প্রতি প্রেম ও আকর্ষণ থাকতে পারে না।
১১. আল্লাহ্ ও তাঁর দাসের মধ্যে (তাওয়াক্কুল) নির্ভরতা এক অনুদঘাটনীয় ব্যাপার।
১২. যে ব্যক্তি মসজিদে বসে আল্লাহর যিকিরে মগ্ন হয়, রোজ কিয়ামতে আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে জায়গা দেবেন, আর যেব্যক্তি কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোন মুসলমানের সঙ্গে দেখা করে, আল্লাহ্ তাকে জান্নাতের মধ্যে তাঁর দীদার লাভে ধন্য করবেন।
১৩. প্রতি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ কর। আর তা যদি না পার তা হলে সদা-সর্বদা মৃত্যুর কথা স্মরণ রাখ।
সূত্রঃ তাযকিরাতুল আউলিয়া
হযরত আবু ইসহাক ইব্রাহীম শায়বানী (রঃ) – প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন