হযরত আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ ইবনে হুসাইন (রঃ)
তুস শহরের সর্বশ্রেষ্ঠ সাধক হলেন হযরত আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে হুসাইন (রঃ)।
সত্যনিষ্ঠ, প্রেমিক, অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন এই সাধক একাগ্র সাধনার জন্য সুখ্যাত। হযরত আবু ওসমান তিবরী (রঃ)- সহ বহু বিখ্যাত তাপসের সান্নিধ্য লাভের সৌভাগ্য তাঁর হয়েছিল। তাঁর বাণী অন্তর জীবনকে উদ্ভাসিত করে দেয়। তিনি বলেন –
১। মুরীদগণ যে দুঃখ-কষ্টে জীবন যাপন করেন, তা আনন্দদায়ক না হলেও নিরান্দন কিংবা দুঃখ বা অশান্তির বিষয় নয়।
২। সুফী সাধকগণ আল্লাহর সঙ্গে নিশ্চিন্তে বাস করেন এবং সংসারবিরাগী, ত্যাগীগণ নফসের সঙ্গে জেহাদ করে জীবন কাটান ।
৩। আল্লাহ তাঁর দাসগণের বর্তমান আমল অনুযায়ী মারেফাতের একটি অংশ দান করেন। কর্মের পরিমাণ ও মান অনুযায়ী মারেফাতের এমন বস্তু দান করা হয় যে, তা বিপদের দিনে প্রধান এক সাহায্যকারী বন্ধু রূপে দাঁড়িয়ে যায়।
৪। যে ব্যক্তি যৌবনে এবাদত থেকে দূরে থাকে, বার্ধক্যে যে নানাভাবে অপদস্থ ও অপমানিত হয়।
৫। স্বচ্ছ হৃদয়ে, সরল মনে কেউ যদি একদিনের জন্যও পুণ্যবান মানুষের সেবা করে থাকে, আল্লাহ তার বিনিময়ে তাকে সারা জীবন বরকত দান করেন। সুতরাং যে ব্যক্তি সারা জীবন কোন ওলী আল্লাহর খেদমতে কাটিয়ে দেয়, সে যে মর্যাদার কত উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
৬। আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপলক্ষ আল্লাহই।
৭। যে ব্যক্তি দুনিয়া ছাড়ে ও উচ্চ পদের আশা পোষণ করে, আসলে সে ভন্ড ও দুনিয়াদার লোক। সে কিছুতেই সংসারবিরাগী নয়।