সোনার অলঙ্কারের যাকাত দিতে অস্বীকারকারিনী এক ধনী নারীর ভয়াবহ পরিণাম
ভাই মাসুদ জানালেন, তাদের এলাকায় এক ধনাঢ্য পরিবারের মহিলা সব সময় সোনার অলঙ্কার পরিধান করে থাকতো। তার কানে, গলায় ও হাতে ছিলো সোনার তৈরি মোটা মোটা অলংকার। সেই মহিলা সেসব অলংকারের যাকাত আদায় করত না। তাকে অনেকে যাকাত আদায় করার পরামর্শ দিলেও সে যাকাত দিতে রাজি হয় নি।
এই মহিলার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে দেখা গেল, সোনার অলংকার তার দেহের সাথে মিশে গেছে। মৃত্যুর পর আত্মীয় স্বজন চেষ্টা করেও তার দেহ থেকে সোনার অলংকার খুলতে পারে নাই। একজন আলেমকে ডেকে এ বিষয়ে জানানো হলো। সে আলেম বললেন, ওসব অলংকার আপনারা খুলতে পারবেন না, অলংকারসহ দাফন করুন।
মহিলার এক পুত্র মায়ের কবরের কাছে গিয়ে প্রতিদিন কিছু দোয়া দরূদ পাঠ করে মায়ের রূহের উদ্দেশ্যে বখশিশ করতো। একদিন পুত্র কবরের ভিতর থেকে তীব্র চিৎকার শুনতে পেল। পুত্র তার মায়ের কণ্ঠস্বর চিনতে পারলো। সে বুঝতে পারল তার মা ভীষণ কষ্টে আছে। কবর খনন করা হলো। দেখা গেল সোনার অলংকার আগুনের মতো লাল হয়ে তার মাকে শাস্তি দিচ্ছে। পুত্র মাটি চাপা দিয়ে কবর বন্ধ করে দিল এবং কেঁদে কেঁদে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন।
সূত্রঃ চোখে দেখা কবরের আযাব