সেনা দফতর চালু
হিজরী ১৫-এ হযরত ওমর (রাঃ) সৈন্যদের একটি স্বতন্ত্র দফতর চালু করেন। সকল আরবকে সেনাবাহিনীর সদস্য গণ্য করা হলে এবং আরবি নবীর সগোত্রীর হবার কারণে দীন ইসলামের প্রতিরক্ষার অংশ নেওয়া তাঁদের জন্য আবিশ্যিক সাব্যস্ত করা হল। সকল সৈন্যের নাম যথারিতী রেজিষ্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং মুহাম্মদ (সাঃ) নৈক্যট্য দ্বীন খেদমতের বিচার তাঁদের নিম্নরুপ বেতন নির্ধারন করা হয়। হযরত আব্বাস (রাঃ) মহানবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা বাষিক পঁচিশ হাজার দেরহাম, মহানবীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্ত্রীগণ বাষিক দশ হাজার দেরহাম।
বদরী সাহাবী হযরত হাসান, হুসাইন, আবু যর ও সালমানী ফারসী বার্ষিক পাঁচ হাজার দেরহাম
হুদায়বিয়া সন্ধির অংশগ্রহণকারীগণ বার্ষিক চার হাজার দেরহাম। মুরতাদদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অংশগ্রহণকারীগণ বাষিক দুই হাজার দেরহাম। কাদেসিয়া ও যারমূকের পরে প্রসিদ্ধ যুদ্ধসমূহে অংশগ্রহণকারীগণ এক হাজার দেরহাম। উপরোক্ত শ্রেণীসমূহের পরের মুজাহিদদের পাঁচ শত থেকে আড়াই শত পর্যন্ত। স্ত্রীলোকদের স্তর অনু্যায়ী পাঁচশত থেকে আড়াইশত দেরহাম বার্ষিক এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের বার্ষিক একশত দেরহাম বেতন নির্ধারণ করা হয়।
এ ব্যাপারে আরব অনারবে কোন পার্থক্য ছিল না। লক্ষ্যনীয় ছিল শুধুমাত্র ইসলামের খেদমতের বরং কখনো কখনো হৃদয় জয়ের উদ্দেশ্য অনারবদের সাথেও বিশেষ ধরনের আচারণ করা হত। হযরত ওসমান (রাঃ) এর সময় পর্যন্ত এরুপ নিয়ম প্রচলিত ছিল। হযরত আলী (রাঃ) তাঁর সময়ে সবচেয়ে মুজাহিদের বেতন সমান করে দেন। সৈন্যদের এ ব্যবস্থা এত নিয়মতান্ত্রিক ও হযরত ওমরের (রাঃ) তত্বাবধানে এত কঠোর ছিল যে, কোন ব্যক্তি তাঁর কার্যে অনুপস্থিত থাকবে আর তিনি তা জানতে পারবেন না, তা সম্ভব ছিল না।