সাদ্দাদের বেহেস্ত-২য় পর্ব
সাদ্দাদের বেহেস্ত-১ম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সাদ্দাদ নবীর কথা শুনে কোন রকম প্রভাবান্বিত হল না বরং সে নবীকে বলে দিল, হে হুদ ! তুমি আমাকে পরকালের লোভ দেখাচ্ছ। অত দূরের সুখ-শান্তি তোমরাই ভোগ কর। আমি এখানে আল্লাহ্র বেহেস্তের ন্যায় একখানি বেহেস্ত তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অতএব অযথা কথা বলে আমার সময় নষ্ট কর না। তুমি তোমার গরীব উম্মতদেরকে নিয়ে তোমার খোদার বেহেস্ত লাভের আশায় থাক। আমার কাছে দ্বিতীয় বার আর এসো না। নবী সাদ্দাদের কথায় বিরক্ত না হয়ে অনেকবার তাঁকে বলল। সাদ্দাদ শেষ পর্যন্ত তাঁর সম্মুখ থেকে চলে গেল। একদিন পোড় সাদ্দাদ তাঁর রাজ্যের সকল রাজা,আমির ও বনিকদেরকে জরুরি ভিত্তিতে রাজ দরবারে ডেকে পাঠাল। সকলে রাজার জরুরি ঘোষণা শুনে রাজদরবারে হাজির হল।
সাদ্দাদের অধিনে তখন প্রায় এক হাজার রাজা ছিল। তারা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত শাসনকর্তা ছিল। আমীরের সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ হাজার । আমীরেরা জমিদারদের ন্যায় নিদিষ্ট এলাকায় সর্বেসর্বা ছিল। সকলে মহারাজা সাদ্দাদ কে নিয়মিত খজনা,ওশর ও ভ্যাট প্রদান করত। বনিকের সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব ছিল না। কারণ দেশের অধিকাংশ লোক ধনি আর সম্পদশালী ছিল। এ সময় উঁচুমানের লোকদের ডেকে সাদ্দাদ বলল, আমি আমার রাজ্যের সর্বোত্তম স্থানে এক সুখময় বেহেস্ত তৈরি করতে চাই। নবীগন আল্লাহ্ তা’য়ালার বেহেস্ত সম্বন্ধে যেরূপ সৌন্দর্যমন্ডিত ও আরামদায়ক বেহেস্তের কথা আলোচনা করে থাকেন ঠিক তদ্রুপ বেহেস্ত তৈরি করাই আমার একান্ত আশা। অতএব আপনারা এ ব্যাপারে আমাকে সর্বত্তম সাহায্য সহানুভূতি প্রদান করবেন। এ ব্যাপারে কেও অমনোযোগী থাকলে আমি তাঁকে শাস্তি দেব এবং ধন-সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে নেব। এ ব্যাপারে আপনারা সকলে আন্তরিকভাবে এ কাজে সহযোগিতা করবেন বলে আশা রাখি। সর্বপ্রথম উত্তম জায়গা নির্বাচন করুণ। তারপর দেশে-বিদেশী কারিগর ও প্রকৌশলী খবর দিয়ে একটি প্লান বা নকশা তৈরি করুন। আগামি সাত দিনের মধ্যে আনুসঙ্গিক প্রুস্ততি সমাধা করে অষ্টম দিনে ভিত্তিপ্রস্তুর করতে হবে। আপনারা প্রুস্তুতি কমিটি গঠন করে নিন। আমার নিকট থেকে প্রয়োজনীয় টাকা পয়সা নিয়ে নিন। আজকের এ বৈঠকে সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় আলোচনা করে সঠিক সিন্ধান্ত গ্রহন করুন। অযথা সময় নষ্ট করা যাবে না। এখন আপনারা এ ব্যাপারে আপনাদের এ মন্তব্য পেশ করুন।