শহীদের মুচকি হাসি

এ ঘটনাটি আফগানিস্থানে ঘটেছে- যেখানে হাজার হাজার মোসলমান রুশ বাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে শাহাদাত লাভ করেছেন। নাসরুল্লাহ মনসুর একজন মুজাহিদ। তিনি বললেন, আরছালান বলেছেন, আফগানিস্থানে আব্দুল জলীল নামে মাদ্রাসা পড়ুয়া একজন ছাত্র ছিল। সে অত্যন্ত নেককার-খোদাভীরু ছিল। ঘটনাক্রমে রুশ বাহিনী কর্তৃক নিক্ষেপিত বিমানের একটি গোলা তার শরীরে এসে লাগে। তখন সে মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে শাহাদাত লাভ করে। মুজাহীদগণ আসরের নামাজের পর তাঁর জানাযা নামাজ আদায় করেন। তারপর তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে মনস্ত করেন। সকাল পর্যন্ত তার লাশের কাছে পাহারায় ছিলেন।

কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল যে, শহীদ আব্দুল জলীল তার দু’চোখ খুলে কেবল মুচকি হাসছিল। মুজাহিদগণ মনে করলেন-হয়তো আব্দুল জলীল এখনও মৃত্যুবরণ করেনি, তাই তারা আরসালান সাহেবকে সংবাদ দিলেন যে, স্যার! আব্দুল জলীল তো এখনও মৃত্যুবরণ করেনি। সে জীবিত আছে। কারণ, সে তার চক্ষু খুলে হাসছে।

আরসালান সাহেব উত্তর দিলেন-আব্দুল জলীল যে শহীদ হয়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। মুজাহীদগণ বললেন, না আমরা যেহেতু এখনও নিশ্চিতরুপে জানতে পারিনি তার শাহাদাতের ব্যাপার, তাই তাকে সমাধিস্থ করা আমাদের জন্য ঠিক হবে না। পুনরায় তার জানাযা নামাজ আদায় করতে হবে।

আরসালান সাহেব বললেন, কোন সন্দেহ নেই, আব্দুল জলীত তো কালকেই শহীদ হয়ে গিয়েছে। তবে তোমরা যে তার মুখে হাসি দেখছো, তা হল শহীদের কারামত। দাফন করার ব্যবস্থা কর। নিশ্চয় আল্লাহর অশেষ নিয়ামত তার জন্য অপেক্ষা করছে।

আরো পড়তে পারেন...

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন প্রাচ্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মনীষী, শিক্ষাবিদ, ভাষাবিদ, লেখক, গবেষক ও সমাজ সংস্কারক।…

অপু ও ফলচুরি রহস্য

মহানগরের কোলাহলের মাঝে, ব্যস্ত জনপথের কিছুটা দূরে একফালি সবুজ ল্যান্ডস্কেপ । সদ্য গড়ে ওঠা আবাসন…

ভালুক ও কাঠবিড়ালী

কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘খুকি ও কাঠবিড়ালী’ কবিতাটি কম-বেশি সবাই পড়েছে। এ কবিতাটির কারণেই ছোট্ট…

শহীদের মুচকি হাসি

এ ঘটনাটি আফগানিস্থানে ঘটেছে- যেখানে হাজার হাজার মোসলমান রুশ বাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়ে শাহাদাত লাভ করেছেন। নাসরুল্লাহ মনসুর একজন মুজাহিদ। তিনি বললেন, আরছালান বলেছেন, আফগানিস্থানে আব্দুল জলীল নামে মাদ্রাসা পড়ুয়া একজন ছাত্র ছিল। সে অত্যন্ত নেককার-খোদাভীরু ছিল। ঘটনাক্রমে রুশ বাহিনী কর্তৃক নিক্ষেপিত বিমানের একটি গোলা তার শরীরে এসে লাগে। তখন সে মহান রবের ডাকে সাড়া দিয়ে শাহাদাত লাভ করে। মুজাহীদগণ আসরের নামাজের পর তাঁর জানাযা নামাজ আদায় করেন। তারপর তাঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে মনস্ত করেন। সকাল পর্যন্ত তার লাশের কাছে পাহারায় ছিলেন।

কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হল যে, শহীদ আব্দুল জলীল তার দু’চোখ খুলে কেবল মুচকি হাসছিল। মুজাহিদগণ মনে করলেন-হয়তো আব্দুল জলীল এখনও মৃত্যুবরণ করেনি, তাই তারা আরসালান সাহেবকে সংবাদ দিলেন যে, স্যার! আব্দুল জলীল তো এখনও মৃত্যুবরণ করেনি। সে জীবিত আছে। কারণ, সে তার চক্ষু খুলে হাসছে।

আরসালান সাহেব উত্তর দিলেন-আব্দুল জলীল যে শহীদ হয়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। মুজাহীদগণ বললেন, না আমরা যেহেতু এখনও নিশ্চিতরুপে জানতে পারিনি তার শাহাদাতের ব্যাপার, তাই তাকে সমাধিস্থ করা আমাদের জন্য ঠিক হবে না। পুনরায় তার জানাযা নামাজ আদায় করতে হবে।

আরসালান সাহেব বললেন, কোন সন্দেহ নেই, আব্দুল জলীত তো কালকেই শহীদ হয়ে গিয়েছে। তবে তোমরা যে তার মুখে হাসি দেখছো, তা হল শহীদের কারামত। দাফন করার ব্যবস্থা কর। নিশ্চয় আল্লাহর অশেষ নিয়ামত তার জন্য অপেক্ষা করছে।