শহীদ হবার পরেও ধরে আছেন রিভালবার

কয়েক বছর পূর্বে আফগানস্থানে রুশদের সাথে যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, তাতে মোসলমানদের খোদায়ী মদদ লাভের কথা মোটামুটি সকলেরই জানা আছে । তখন অনেক মুজাহিদের শাহাদাতের পরও অনেক আচার্যজনক ঘটনা ঘটেছে । শাহাদত লাভের পর অনেকের রক্ত হতে সুঘ্রান বের হয়েছে । বহুদিন লাশ অক্ষত রয়েছে । 

তেমনি এক শহিদের ঘটনা এমন ঘটেছে, তিনি শহীদ হয়ে গিয়েছেন, তারপর ও আল্লার দ্বীন জমিনে টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধের অস্ত্র হাত থেকে ছাড়েননি । ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন নাছরুল্লাহ মনসুর ।  তিনি বলেন, যুবায়ের কর্তিক “লাওর” নামক স্থানে মারাত্তকভাবে আহত হন । সাথে সাথে তিনি মাটিতে লুটিয়ে, আল্লাহর ডাকে  সাড়া দিয়ে শহীদ হয়ে যান । কিন্তু কি অবাক ব্যাপার! শহীদ হবার পরও তিনি রিভালবার হাতে ধরে ছিলেন । মুজাহিদগন এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে ভেবেছিলেন যে, হয়তো জীবিত রয়েছেন । তাই তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে শিরা দেখা হল । পরিক্ষা করে মুজাহিদগণ নিচ্চিতরুপে জানতে পারলেন যে, তিনি শহীদ হয়ে গিয়েছেন, তিনি জীবিত নেই। মুজাহিদরা তাঁর হাত হতে রিভালবারটি নিতে চাইলেন, কিন্তু সেই শাহাদাতবরণকারী মুজাহিদ অস্ত্র ধরেই আছেন। হাত থেকে অস্ত্র ছাড়ছেন না। সবাই অবাক! মুজাহিদগণ সেই শহীদের বাড়িতে সংবাদ পাঠালেন। সাথে সাথে উপস্থিত হলেন তার পিতা কাফী মীর সুলতান। তিনি মুজাহিদদের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে আশ্চর্য হলেন।

তারপর শহীদের পিতা শাহাদাতবরণকারী ছেলের নিকট উপস্থিত হয়ে আদরের সাথে বলে উঠলেন-আব্বু! তোমাকে আল্লাহ শাহাদাতের জন্য কবুল করেছেন। তুমি জান্নাতে চলে যাবে, আর যে সমস্ত মুজাহিদ জীবিত রয়েছেন, এখন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়বেন। বিরোধিতা করবেন খোদা বিরোধি সকল শক্তিকে। আফগানিস্থানে হবে ইসলামী শাসন। তাই আব্বু! মুজাহীদদের জন্য অস্ত্র ছেড়ে দাও।

কী আবাক ব্যাপার, তখন শাহাদাতকারী “মীর আগা” আর বিলম্ব করলেন না, সাথে সাথে । মুজাহিদদের জন্য অস্ত্র ছেড়ে দিলেন।

সূত্রঃ চোখে দেখা কবরের আযাব

আরো পড়তে পারেন...

শেয়াল ও মুরগি

এক বাগানের একটি খাঁচায় একপাল মুরগিছানা থাকত ওদের মায়ের সঙ্গে। ওরা ছিল বেশ শান্ত-সুবোধ। কেউ…

ছাগল ও সিংহ

ক্লাসে কিছু ছাত্র থাকে যারা- যেমন বুদ্ধিমান তেমনি জ্ঞানী। আবার কিছু ছাত্র আছে যাদের স্মৃতি…

সততার মূল্য

‘সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা’—এ প্রবাদটি আমরা সবাই জানি। কেবল প্রবাদে নয়, পবিত্র কোরআন ও হাদিসেও সততার…

শহীদ হবার পরেও ধরে আছেন রিভালবার

কয়েক বছর পূর্বে আফগানস্থানে রুশদের সাথে যে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল, তাতে মোসলমানদের খোদায়ী মদদ লাভের কথা মোটামুটি সকলেরই জানা আছে । তখন অনেক মুজাহিদের শাহাদাতের পরও অনেক আচার্যজনক ঘটনা ঘটেছে । শাহাদত লাভের পর অনেকের রক্ত হতে সুঘ্রান বের হয়েছে । বহুদিন লাশ অক্ষত রয়েছে । 

তেমনি এক শহিদের ঘটনা এমন ঘটেছে, তিনি শহীদ হয়ে গিয়েছেন, তারপর ও আল্লার দ্বীন জমিনে টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধের অস্ত্র হাত থেকে ছাড়েননি । ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন নাছরুল্লাহ মনসুর ।  তিনি বলেন, যুবায়ের কর্তিক “লাওর” নামক স্থানে মারাত্তকভাবে আহত হন । সাথে সাথে তিনি মাটিতে লুটিয়ে, আল্লাহর ডাকে  সাড়া দিয়ে শহীদ হয়ে যান । কিন্তু কি অবাক ব্যাপার! শহীদ হবার পরও তিনি রিভালবার হাতে ধরে ছিলেন । মুজাহিদগন এ অবস্থা প্রত্যক্ষ করে ভেবেছিলেন যে, হয়তো জীবিত রয়েছেন । তাই তাঁর শরীরে বিভিন্ন স্থানে শিরা দেখা হল । পরিক্ষা করে মুজাহিদগণ নিচ্চিতরুপে জানতে পারলেন যে, তিনি শহীদ হয়ে গিয়েছেন, তিনি জীবিত নেই। মুজাহিদরা তাঁর হাত হতে রিভালবারটি নিতে চাইলেন, কিন্তু সেই শাহাদাতবরণকারী মুজাহিদ অস্ত্র ধরেই আছেন। হাত থেকে অস্ত্র ছাড়ছেন না। সবাই অবাক! মুজাহিদগণ সেই শহীদের বাড়িতে সংবাদ পাঠালেন। সাথে সাথে উপস্থিত হলেন তার পিতা কাফী মীর সুলতান। তিনি মুজাহিদদের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা শুনে আশ্চর্য হলেন।

তারপর শহীদের পিতা শাহাদাতবরণকারী ছেলের নিকট উপস্থিত হয়ে আদরের সাথে বলে উঠলেন-আব্বু! তোমাকে আল্লাহ শাহাদাতের জন্য কবুল করেছেন। তুমি জান্নাতে চলে যাবে, আর যে সমস্ত মুজাহিদ জীবিত রয়েছেন, এখন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়বেন। বিরোধিতা করবেন খোদা বিরোধি সকল শক্তিকে। আফগানিস্থানে হবে ইসলামী শাসন। তাই আব্বু! মুজাহীদদের জন্য অস্ত্র ছেড়ে দাও।

কী আবাক ব্যাপার, তখন শাহাদাতকারী “মীর আগা” আর বিলম্ব করলেন না, সাথে সাথে । মুজাহিদদের জন্য অস্ত্র ছেড়ে দিলেন।

সূত্রঃ চোখে দেখা কবরের আযাব

আরো পড়তে পারেন...

ভাঙ্গা খেলনার গল্প

রাতুল ছিল তার বাবা-মায়ের একমাত্র আদরের সন্তান। তার কোনো কিছুরই অভাব ছিল না। সে যা…

সীতাভোগ খাওয়ার জ্বর

গোপাল আর তার প্রাণের বন্ধু নেপাল নৌকায় করে একবার চাঁদপুর যাচ্ছিল। নৌকোয় ছয়জন মাঝি ছাড়া…

লোকসান দু’পয়সা

গোপাল একবার নদীর ঘাটে ঘাটের ইজারা নিয়েছিল। নদীর ফেরী ঘাটের ইজারাদার গোপাল ভাড়া ছয় পয়সা…